আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
406 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
edited by
  1. আমি নামাজ আদায় করার দুই ঘন্টা পরে খেয়াল করলাম চোখের পাশে হাত দিয়ে কচলাতে কিছুটা ময়লা বের হয়েছিল  সে ক্ষেত্রে আমার নামাজ  এবং ওযু কি হয়েছে ? 

  2. ওযু করার সময় মাঝে মধ্যে আমার মাথা একবারের বেশি মাসেহ করা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমার অজু ভেঙ্গে যাবে কি ?

  3. অনেক জায়গায় ওযু করার সময় দেখা যায় ট্যাপের পানি সরাসরি নিচে পড়ছে তখন কিছু পানি হালকা মাঝে মাঝে  ছিটে আসে পায়ের কাছে  কারণ মসজিদের মত অজুখানার জায়গা কিছু জায়গায়   নিচু  থাকে না  সে ক্ষেত্রে আমাদের ওযু হবে   কি সেখানে ?

1 Answer

0 votes
by (710,840 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)চোখের ময়লা নাপাক নয়, সুতরাং চোখ থেকে ময়লা বের হলে অজু নষ্ট হবে না। 
(২)মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা ফরয। এবং সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা মুস্তাহাব। এর অতিরিক্ত কিছু করা বা মাথাকে ধৌত করার মত মাসেহ করা বিদআত। 
(৩) https://www.ifatwa.info/4195 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ : " أَنَّهُ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَنَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُطْرَحُ فِيهَا الْحِيَضُ وَلَحْمُ الْكِلَابِ وَالنَّتْنُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:  الْمَاءُ طَهُورٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ  " .
 একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আমরা কি (মদীনার) ‘বুযাআহ’ নামক কূপের পানি দিয়ে অযু করতে পারি? কূপটির মধ্যে মেয়েলোকের হায়িযের নেকড়া, কুকুরের গোশত ও যাবতীয় দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস নিক্ষেপ করা হত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পানি পবিত্র, কোন কিছু একে অপবিত্র করতে পারে না।(সুনানু আবি-দাউদ-৬৬)

হযরত আবু উমামা বাহিলি রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:   إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ، إِلَّا مَا غَلَبَ عَلَى رِيحِهِ وَطَعْمِهِ وَلَوْنِهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,পানি মূলত পবিত্র।তাকে কোনো জিনিষ নাপাক করতে পারে না।তবে পানির গন্ধ, স্বাদ ও রং পরিবর্তন হয়ে গেলে সে পানি জায়েয হবে না।(সুনানু ইবনি মা'জা-৫২১)

পানিকে ব্যবহার করার পর যে পানি শরীর থেকে ছিটকে পড়ে যায় তাকে ব্যবহৃত পানি বলে।ব্যবহৃত পানি পবিত্র যদিও সেই কাউকে পবিত্র বানাতে পারে না।
والثالث طاهر غير مطهر وهو ما استعمل لرفع حدث أو 
لقربه كالوضوء على الوضوء بنيته ويصير الماء مستعملا بمجرد انفصاله عن الجسد
পানি সর্বমোট পাঁচ প্রকার।এর মধ্যে তৃতীয় প্রকার পানী হলো,যা নিজে পবিত্র তবে অন্যকে পবিত্র করতে পারে না। সেটা হল ঐ পানী যা অপবিত্রতাকে  দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়।বা নেকী অর্জনের জন্য ব্যবহার করা হয়,যেমন ওযুর থাকাবস্থায় ওযুর করার ব্যবহৃত পানি।
পানি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মাত্রই তা ব্যবহৃত পানি হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে।(মারাক্বিল ফালাহ-১/১৪)
ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,
"وَفِي إِجْمَاعِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ النَّدَى الْبَاقِي عَلَى أَعْضَاءِ الْمُتَوَضِّئِ وَالْمُغْتَسِلِ وَمَا قَطَرَ مِنْهُ عَلَى ثِيَابِهِمَا طَاهِرٌ : دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَةِ الْمَاءِ الْمُسْتَعْمَلَِ"
অজু কারী এবং গোসল কারীর শরীরে যে পানি বাকী থাকে এবং যা টপকে টপকে কাপড়ে পড়ে,সেটা পবিত্র হওয়ার ব্যপারে সমস্ত উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে।এটা প্রমাণ করে যে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। সুতরাং সেটা পবিত্রতাকে বিনষ্ট করবে না।(আল-আউসাত ফিস-সুনানি ওয়াল ইজমায়ি ওয়াল-ইখতেলাফি-১/২৮৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অজুর ব্যবহৃত পানি বা নিচে পানি পড়ার পর সেই পানির ছিটকা কাপড় বা শরীরে লাগলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। অজু হবে । এবং উক্ত অজু দ্বারা নামায হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (710,840 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...