জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে পিরিয়ড এর ক্ষেত্রে নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
অর্থাৎ নামাজের ওয়াক্তের শেষে যদি কাহারো পিরিয়ড শুরু হয়,তাহলে তার ঐ নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
কাহারো যদি নামাজের ওয়াক্তের শেষ সময়ে পিরিয়ড শেষ হয়,
তাহলে যদি সেই সময় গোসল করে সেই নামাযের তাকবীর বাঁধার মত সময়ও বাকি থাকে, তাহলে উক্ত নামাযটি আদায় করা আবশ্যক হয়ে যায়। আর যদি গোসল করে তাকবীর বাঁধার মত সময় না পাওয়া যায়, তাহলে সেই নামায আদায় করা আবশ্যক নয়।
,
এখানেও নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ سَمَاعَةَ - قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ قُرَيْشٍ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ فَزَعَمَتْ أَنَّهُ قَالَ لَهَا " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .
ইমরান ইবনু ইয়াজিদ (রহঃ) ... উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশ বংশের আসা’দ গোত্রের ফাতিমা বিন্ত কায়স (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, তার ইস্তিহাযা হয়। তিনি মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ একটি শিরা (শিরার রক্ত) বিশেষ। অতএব যখন হায়য আরম্ভ হবে তখন সালাত ছেড়ে দেবে। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন গোসল করবে এবং তোমার ঐ রক্ত ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সালাত আদায় করবে।
সহিহ, বুখারি হাঃ ৩০৬, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৬৫৯।
أما الفرض ففي الصوم تقضیہ دون الصلاة وإن مضی من الوقت ما یمکنھا أداوٴھا فیہا؛لأن العبرة عندنا لآخر الوقت کما في المنبع (رد المحتار، کتاب الطھارة، باب الحیض، ۱: ۴۸۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
এখানে নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সুবহে সাদিক তথা ফজরের ওয়াক্তের আগেই আপনার পিরিয়ড শুরু হয়ে থাকে,তাহলে উক্ত বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
সেটি মাফ।
,
আর যদি ফজরের ওয়াক্তে পিরিয়ড শুরু হয়,তাহলে তিন রাকাত বিতির কাজা আদায় করতে হবে।
পবিত্র অবস্থায় দিনে হোক,বা রাতে হোক আপনি আদায় করতে পারবেন।