আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
374 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
১/মহিলাদের সুগন্ধি লাগানো নিষেধ স্বামী ছাড়া।এখন যদি বউ জামাই তারা একত্রে কাপড় রাখে এক জায়গায়,ফলে স্বামীর ব্যবহার করা সুগন্ধিযুক্ত কাপড় হতে বউ এর কাপড়ে লেগে গেল।ফলে বউ কি কোন মাহরাম এর কাছে আসতে পারবে?
আবার আখেরী নবী বলেছেন,তোমরা মসজিদকে সুগন্ধি করো,এখন কোন নারী যদি মসজিদে যায়,ফলে তার ও কাপড় তো সুগন্ধ হয়ে গেল,এখন কি হবে?

২/আমার মা আমার জন্য মাহরাম।এখন আমি তেনার কোন কোন অংশ শরীরের দেখতে পারবো?উনার সাধারণত হাত কনুই অবধি খোলা থাকে।মাতার চুল খোলা থাকে।উনার গলা,বুক ও খোলা থাকে,ঘরের মধ্যে।মাঝে মাঝে উপরের পিট,এবং পেট দেখা যায়।
আমি এখন কতটুকু দেখতে পারবো?এসবের।
আবার উনার পা ও দেখা যায়, এটা হাটুর নিচের অংশ।
আমি কি উনার হাটুর নিচের অংশ দেখতে পারবো?
ধরুণ,তিনি ঘুম,এখন শরীরে কাপড় দিয়ে শুয়ে আছেন,এখন আমি যদি উনাকে উনার পিটে স্পর্শ করে ডাকি তখন এটা কি হারাম হবে?কোন সহীহ হাদীস আছে কি?
৩/আমার আনটি তথা মায়ের আপন বোনের সময় উপরে উল্লিখিত শরীরের কতটুকু দেখতে পারবো?
৪/আমার নানীর সময় কতটুকু দেখতে পারবো?উনার বয়স এখন ৫০ উপরে।
৫/উপরের ব্যাক্তি গুলোকে স্পর্শের ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস আছে কি?যে এসব অংগ ধরা যাবে বা যাবে না?
৬/আমার আব্বাজানের আপনবোনের মেয়ে কি আমার জন্য গায়রে মাহরাম?
৭/আমার ফুফাতো বোনের মেয়ে কি আমার জন্য গায়রের মাহরাম?এর প্রমাণ কি ইসলামে।
৮/আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসা ইসলামে জায়েজ।এটা বুখারীতে আছে।এখন কেউ যদি আল্লাহর জন্য কোন বস্তুকে ভালোবাসে তখন এটা কি বিদআত হবে?
আল্লাহ তো সুন্দর ও পবিত্র জিনিস ভালোবাসেন।এখন আমি তেনার জন্য যদি কোন মানুষ অথবা বস্তুকে ভালোবাসি, এটা কি ইসলামে জায়েজ?নাকি বিদআত?
কারণ হাদীসে মানুষকে ভালোবাসার কথা এসেছে,বস্তুর জিনিস এর নহে।
এরকম কি কোন সহীহ হাদীস আছে,যে আমি কোন জিনিসকে ও আল্লাহর জন্য ভালোবাসতে পারবো?
৯/আল্লাহ কুরআনে বলেছেন,তোমরা নিজেদের ক্ষেতে গমন করো যেভাবে ইচ্ছা,তার মানে সামনে বা পিছনে উভয় দিকে জায়েজ।তবে নবী কেন পিছনের রাস্তায় সংগম করতে নিষেধ করেছেন?
আল্লাহ বলছেন এক রকম আর নবী বলছেন আরেক!
এমন কেন?
আবার নবীর একটা হাদীস ও আছে আহমাদ ও তিরমিযী শরীফে যে সম্মুখে কর, পিছনে ও করতে পারো।তবে হায়েজ অবস্হা ও গুহ্যদ্বার পরিহার করে চল।
এর মানেটা কি?

আল্লাহর আপনাকে উক্ত প্রশ্নের জন্য ধন্য করুক,রহম করুক,দয়া করুক।আপনার পরিবারের উপর ও।
আমীন, ইয়া রব্বিল আলামীন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
(১) https://www.ifatwa.info/2221নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
নারীদের জন্য আতর/খোশবু ব্যবহার করে বাহিরে যাওয়া বা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে যাওয়া নিষিদ্ধ। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
( أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ عَلَى قَوْمٍ لِيَجِدُوا مِنْ رِيحِهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ )
যে মহিলা আতর সেবন করে কোনো গোত্র বা দলের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে,যাতে করে লোকজন তার খোশবুর সুঘ্রাণ পায়,তাহলে ঐ মহিলা ব্যভিচারিণী হিসেবে গণ্য হবে।(মুসনাদে আমহদ-১৯২১২,সুনানু নাসাঈ-৫১২৬)
সুগন্ধি ব্যবহার করে ঘরের বাহিরে যাওয়া নিষিদ্ধ। বিশেষ করে গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে যাওয়া আরো চরম পর্যায়ের নিষিদ্ধ। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহিলাদের জন্য ইচ্ছাকৃত সুগন্ধি ব্যবহার করে ঘরে বাহিরে বের হওয়া নাজায়েয ও হারাম । তবে অনিচ্ছাকৃত যদি কখনো কাপড়ে বা শরীরে সুগন্ধি লেগে যায়, তাহলে মহিলা উক্ত সুগন্ধি দূর করার চেষ্টা করবেন, অতঃপর ঘরের বাহিরে যাবেন। ফিতনার আশংকা না থাকলে সুগন্ধি দিয়ে মাহরামের নিকট যাওয়া যাবে। তবে ফিতনার আশংকা থাকলে মাহরামের নিকটও সুগন্ধি ব্যবহার করে যাওয়া জায়েয হবে না। মহিলাদের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরুহে তাহরিমি, যদি মহিলারা কখনো মসজিদে যায়, এবং সুগন্ধি লেগে যায়, তাহলে কোনো সমস্যা নাই। উক্ত সুগন্ধি কাপড়ে থাকাবস্থায় ভিন্ন কোনো গায়রে মাহরামের সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে। 

(২)
আপনি যদি ছেলে হন, তাহলে মাস’আলা হল, 
https://www.ifatwa.info/1493 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মাহরাম মহিলাদের দিকে দৃষ্টি দেয়া কতটুকু জায়েয এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বলা হয়,
وأما نظره إلى ذوات محارمه فنقول: يباح له أن ينظر منها إلى موضع زينتها الظاهرة والباطنة وهي الرأس والشعر والعنق والصدر والأذن والعضد والساعد والكف والساق والرجل والوجه،
যৌন উত্তেজিত হওয়ার আশংকা না থাকলে পুরুষ তার মাহরামে আবদিয়্যাহ মহিলার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সৌন্দর্যময় স্থানের দিকে দৃষ্টি দিতে পারবে। সে স্থানগুলো হল- মাথা, চুল,গর্দনা,বুকের উপরি অংশ,কান,বাহু,হাতের কবজি,পায়ের গোড়ালি,পা ও চেহারা। (শেষ) বিস্তারিত জানতে উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করুন। 
(বিঃদ্রঃ)
আপনি সহীহ হাদীসের কথা বলছেন কেন প্রতি প্রশ্নে??? আমরা তো কি জাল হাদীসের আলোকে ফাতাওয়া দেই। 

(৩) আপনার খালা তথা মায়ের আপন বোনের সময়েও পূর্বের মত একই বিধান। 

(৪) আপনার নানীল সময়েও পূর্বের মত একই বিধান। 

(৫) সহীহ হাদীস কি ? বারবার কেন সহীহ হাদীস সহীহ হাদীস বলছেন? আমাদের জানামতে এ ব্যপারটা ফুকাহায়ে কেরামদের ইজতেহাদ দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। সহীহ হাদীস সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।  

(৬) আপনার আব্বাজানের আপনবোনের মেয়ে আপনার জন্য গায়রে মাহরাম। 

(৭)  আপনার ফুফাতো বোনের মেয়ে আপনার জন্য গায়রের মাহরাম।

(৮) জ্বী, হাদীসে এসেছে, মহব্বত আল্লাহর জন্যই হওয়া উচিৎ এবং শত্রুতা আল্লাহর জন্যই হওয়া উচিৎ। 

(৯) গুহ্যদ্বার পরিহার করে সামন পিছন যে কোনো দিক থেকে করা যায়। শর্ত হল, সংগম শুধুমাত্র প্রস্রাবের রাস্তা দিয়েই হতে হবে। 

কোনো কিছু না বুঝলে কমেন্ট করবেন। অযথা নতুন করে প্রশ্ন করবেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...