আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
১. ওযু ছাড়া মুখস্ত সূরা পড়া যাবে? যেমন - সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন দু'য়া তে 'তিন কুল,আয়াতুল কুরসি'
২. "নামায হলো বেহেস্তের চাবি" এটি কি সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত? কয়েকজনের বক্তব্য শুনেছিলাম এই ব্যাপারে। একজন বলেছেন সহীহ হাদিস এটি। বাকি সবাই বলেছেন এর সনদে দুর্বলতা আছে। একটি ফিকহ্ এর বইয়ে এই হাদিসটি আছে। এখন এটা পড়া কি ঠিক হবে?
৩. হায়েজ হলে কুরআন পড়া যায় না। কুরআনের বাংলা অর্থ,তাফসির পড়া যাবে মোবাইল/ল্যাপটপ থেকে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7218 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/793

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অযু ব্যতিত মুখস্ত সূরা পড়া যাবে।যেমন - সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন দু'য়া তে 'তিন কুল,আয়াতুল কুরসি' অজু ব্যতিত পড়া যাবে। এবং হায়েয অবস্থায় দু'আর নিয়তে পড়া যাবে।

(২)
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ الصَّلَاةُ، وَمِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الْوُضُوءُ»

[حكم الألباني] : صحيح لغيره
[«سنن الترمذي ت شاكر» (1/ 10)]

নামায বেহেশতের চাবি। উক্ত হাদীসটি সহীহ লি-গায়রিহি। সুতরাং উক্ত হাদীস পড়া যাবে। 

(৩)
হায়েজ হলে কুরআন পড়া যায় না, তবে কুরআনের অনুবাদ বা তাফসীর পড়া যাবে। এমতাবস্থায় অন্ততপক্ষে অজু করে কুরআনের অনুবাদ পড়া মুস্তাহাব। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...