অন্যের টাকা খরচ সম্পর্কে

Question

১।আমি এক শিক্ষকের নিকট টিউশনি পড়ি।প্রতি মাস শেষ হলে আমার পিতা শিক্ষকের বেতন আমার কাছে দিয়ে দেন।আমি ১-২ মাস পরপর বেতন পরিশোধ করে থাকি এবং এতে শিক্ষকের কোনো অভিযোগ নেই।এখন আমি যদি শিক্ষকের বেতনের টাকা নিজ কাজে খরচ করি এবং পরবর্তীতে যদি শিক্ষকের বেতন তাকে দেয় এটা কি জায়েজ হবে?যেহেতু তাকে বেতন মাসে মাসে না দিয়ে দেরি করে দিলেও তার কোনো অভিযোগ নেই কিন্তু টাকা টা তো পিতা দিয়ে থাকে, তাই টাকা খরচ করা কি আমার জন্য বৈধ?

২।http://www.ifatwa.info/18815 ফতোয়ায় বলা হয়েছে গিফট কার্ড এর মেয়াদ থাকায় অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর এইটা আর ব্যবহার করা যাবে না বিধায় তা কিনা জায়েজ নয়।যদি কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ না থাকে অর্থাৎ যেকোনো সময় এই গিফট কার্ড ব্যবহার করে পণ্য কেনা যাবে এইরকম নিয়ম হয় তাহলে কি তা কেনা জায়েজ হবে?

Answer 1

জবাব

بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার বাবার পক্ষ থেকে উকিল।

উক্ত টাকা আপনার কাছে আমানত।  

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি আমানতের খেয়ানতের শামিল,বিধায় তাহা জায়েজ নেই। 

শরীয়তে আমানতদারীতার গুরুত্ব অনেক বেশি।  

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

    

وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ

(মুসলমান তারা) যারা আমানতের হেফাজত করে, অঙ্গীকারসমূহ রক্ষা করে। সূরা মুমিনূন ২৩/৮

নবীজী তার অধিকাংশ ভাষণে বলতেন,

لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ، وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ

শুনে রাখো! যার ভিতর আমানতদারিতার গুণ নেই, তার ভিতর যেন ঈমানও নেই, যার ভিতর ওয়াদা রক্ষার বালাই নেই, তার ভিতর ধর্মের কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই! মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১২৩৮৩

অন্য একটি হাদীসে নবীজী এরশাদ করেন,

آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ

মোনাফেকের আলামত তিনটি, মিথ্যা বলা, আমানতের খেয়ানত করা ও ওয়াদা করে খেলাপ করা। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩

,

(০২)

যেহেতু এই ছুরতে জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ছুরতটি নেই,তাই অন্য কোনো শরীয়ত বহির্ভূত শর্ত না হলে তাহা জায়েজ আছে।  

Comments

https://darulifta.info/d/onlinefatawa/fatwa/mt7/%D9%88%DA%A9%DB%8C%D9%84-%D8%A8%D8%A7%D9%84%D8%A8%DB%8C%D8%B9-%DA%A9%D8%A7-%D8%AB%D9%85%D9%86-%D9%85%DB%8C%DA%BA-%D8%AA%D8%B5%D8%B1%D9%81-%DA%A9%D8%B1%D9%86%D8%A7