ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে। তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।
স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিয়ে থাকে, এবং স্ত্রী যদি নিজের উপর তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি স্বামী অধিকার না দিয়ে থাকে, এবং কাবিন নামায় স্ত্রী কলে বলে কৌশলে লিখিয়ে অধিকারের কথা লিখিয়ে নেয়, অতঃপর স্ত্রী নিজের উপর তালাক গ্রহণ করে, তাহলে দুনিয়ার বিচারে তালাক হয়ে গেলেও আল্লাহর বিচারে তালাক পতিত হবে।
কাবিন নামায যদি বিনা শর্তে তালাকের অধিকারের কথা স্ত্রী লিখিয়ে নিয়ে নেয়, তাহলে স্ত্রীর সাধারণত তালাক গ্রহণের অধিকার দুনিয়ার বিচারে অর্জিত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কোনো শর্তের আলোকে লিখিয়ে নেয়, তাহলে উক্ত শর্ত পাওয়া গেলে তখনই তালাক গ্রহণের অধিকার অর্জিত হবে। স্ত্রী যদি স্বামীর ধ্বজভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করে তালাক গ্রহণ করে তাহলে স্বামী তার নরমাল রিপোর্ট কোর্টে পেশ করতে পারে, তখনই কোর্টে দুনিয়ারে বিচারে তালাক গ্রহণের অধিকার স্ত্রীর অর্জিত হবে না।
স্ত্রীর যদি কোর্টে গিয়ে নিজ মিথ্যার কথা স্বীকার করে নেয়, তাহলে তখন আইনত তখন স্ত্রীর তালাকের অধিকার রহিত হয়ে যাবে। স্বামী স্ত্রীর ম্যধকার আর কোনো তালাক পতিত হবে না।