আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার এক নিকটাত্মীয় একটি মেয়ে দত্তক নিয়েছিল জন্মের সাথে সাথেই। মেয়েটির এখন ৮ বছর। মেয়েটির সাথে তার পালক বাবার বোন/ভাগ্নি এদের কারো দুধ মার সম্পর্ক স্থাপন করার অবকাশ এখনো আছে কি না? যেহেতু মেয়ের পালক বাবা তার মাহরাম নয় কাজেই দুধ পানজনিত কারণে মাহরাম বানানো সুযোগ এখনো আছে কি?

বিঃদ্রঃ দুধ পানের কারনে যে মাহরাম হওয়া যায় এটা তাদের আগে জানা ছিল না।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী দুধপানের মাধ্যমে কাউকে মাহরাম বানানো যায়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ بِنْتِ حَمْزَةَ لَا تَحِلُّ لِيْ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنْ النَّسَبِ هِيَ بِنْتُ أَخِيْ مِنْ الرَّضَاعَةِ

ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হামযাহর মেয়ে সম্পর্কে বলেছেন, সে আমার জন্য হালাল নয়। কেননা বংশ কারণে যা হারাম হয়, দুধ পানের সম্পর্কের কারণেও তা হারাম হয়, আর সে আমার দুধ ভাইয়ের মেয়ে। (বুখারী শরীফ ২৬৪৫.৫১০০) (মুসলিম ১৭/৩, হাঃ ১৪৪৭, আহমাদ ১৯৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৬৯)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ عِنْدَهَا وَأَنَّهَا سَمِعَتْ صَوْتَ رَجُلٍ يَسْتَأْذِنُ فِيْ بَيْتِ حَفْصَةَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذَا رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ فِيْ بَيْتِكَ قَالَتْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُرَاهُ فُلَانًا لِعَمِّ حَفْصَةَ مِنْ الرَّضَاعَةِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ لَوْ كَانَ فُلَانٌ حَيًّا لِعَمِّهَا مِنْ الرَّضَاعَةِ دَخَلَ عَلَيَّ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَعَمْ إِنَّ الرَّضَاعَةَ تُحَرِّمُ مَا يَحْرُمُ مِنْ الْوِلَادَةِ

 ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর নিকট অবস্থান করছিলেন। এমন সময় তিনি জনৈক ব্যক্তির আওয়াজ শুনতে পেলেন। সে হাফসাহ (রাঃ)- এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করছে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এই একজন ব্যক্তি আপনার ঘরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করছে। তিনি বলেন, তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তাকে হাফসাহর অমুক দুধ চাচা বলে মনে হচ্ছে। তখন ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আচ্ছা আমার অমুক দুধ চাচা যদি জীবিত থাকত তাহলে সে কি আমার ঘরে প্রবেশ করতে পারত? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, পারত। কেননা, জন্মসূত্রে যা হারাম, দুধপানও তাকে হারাম করে। (বুখারী শরীফ ২৬৪৬.৩১০৫-৫০৯৯) (মুসলিম ১৭/১ হাঃ ১৪৪৪, আহমাদ ২৫৫০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৭০)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,  
দুধ পানের মুদ্দত বা সর্বোচ্ছ সময়সীমা দুই বৎসর।দুই বৎসর পর সন্তানকে দুধ পান করানো হারাম।
দুই বৎসর পর যদি কোনো শিশু কোনো মহিলার দুধ পান করে নেয়,তাহলে এদ্বারা দুধ সম্পর্ক প্রমাণিত হবে না।

আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
هُوَ (حَوْلَانِ وَنِصْفٌ عِنْدَهُ وَحَوْلَانِ) فَقَطْ (عِنْدَهُمَا وَهُوَ الْأَصَحُّ) فَتْحٌ وَبِهِ يُفْتَى كَمَا فِي تَصْحِيحِ الْقُدُورِيِّ عَنْ الْعَوْنِ
শিশুর জন্য মায়ের দুধ পানের সর্বোচ্ছ সময়সীমা-ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতে আড়াই বৎসর।আর সাহেবাইনের মাযহাব মতে দুই বৎসর।এই দ্বিতীয় মতটাই বিশুদ্ধতম মত।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।
আরো বর্ণিত রয়েছে-আহসানুল ফাতাওয়া-৫/১২৮
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত মেয়েকে আর মাহরাম বানানোর কোনো সুযোগ নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 161 views
...