বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
জ্বী,সুবহানাল্লাহ এবং আলহামদুলিল্লাহ এর বাংলা তরজমা বললেও সওয়াব পাওয়া যাবে।তবে ইসলামি পরিভাষাকে তার নিজস্ব সূরতে রাখাই উত্তম।
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ অন্যত্র বলেন,
ﻭﺃﻣﺎ ﻣُﺨﺎﻃﺒﺔ ﺃﻫﻞ ﺍﻻﺻﻄﻼﺡ ﺑﺎﺻﻄﻼﺣﻬﻢ ، ﻭﻟﻐﺘﻬﻢ : ﻓﻠﻴﺲ ﺑﻤﻜﺮﻭﻩ ﺇﺫﺍ ﺍﺣﺘﻴﺞ ﺇﻟﻰ ﺫﻟﻚ ، ﻭﻛﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﺻﺤﻴﺤﺔً ، ﻛﻤﺨﺎﻃﺒﺔ ﺍﻟﻌﺠﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻭﻡ ﻭﺍﻟﻔُﺮﺱ ﻭﺍﻟﺘُّﺮﻙ ﺑﻠﻐﺘﻬﻢ ﻭﻋُﺮﻓﻬﻢ ، ﻓﺈﻥَّ ﻫﺬﺍ ﺟﺎﺋﺰٌ ﺣﺴﻦ ﻟﻠﺤﺎﺟﺔ ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻛﺮﻫﻪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳُﺤْﺘَﺞْ ﺇﻟﻴﻪ ….
" ﺩﺭﺀ ﺗﻌﺎﺭﺽ ﺍﻟﻌﻘﻞ ﻭﺍﻟﻨﻘﻞ " ( 1 / 43 ) .
ইসলামী পরিভাষাকে যে কোন ভাষার ভাষায় রুপান্তিত করতে পারবে,যেমন রোম,পারস্য,তুর্কি ইত্যাদিরা ইসলামী পরিভাষাকে তাদের ভাষায় রুপান্তিত করে থাকে, এটা মাকরুহ হবে না বরং উত্তম হবে যদি তার প্রয়োজন পড়ে,প্রয়োজন অতিরিক্ত রুপান্তিকরণ ফুকাহগণ অপছন্দ করে থাকেন। (আক্বলও নক্বল-১/৪৩)
(খ)
জ্বী,সওয়াব পাওয়া যাবে,তবে আরবীতে বলাই উত্তম।
(গ)
আরবীতে কুরআন তেলাওয়াত পৃথক একটি ইবাদত।এবং কুরআন তরজমা শিক্ষা করাও পৃথক একটি ইবাদত। সুতরাং কুরআনের তরজমা পড়ার দ্বারা আরবী কুরআন তিলাওয়াতের ফযিলত বা সওয়াব পাওয়া যাবে না। এবং তা আদায়ও হবে না।
(ঘ)
আল্লাহকে দিনকে বানিয়েছেন কাজের জন্য আর রাতকে বানিয়েছেন ঘুমের জন্য।হ্যা,দিনের প্রথমাংশে কাজ করার পর ক্লান্তিকে দূর করার জন্য বাদ জোহর বিশ্রাম করা সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে।আছরের পর ও মাগরিবের পর যেহেতু যিকির আযকার ও ইবাদতের সময়, তাই এ সময় না ঘুমানো-ই উত্তম। হ্যা,প্রয়োজনে ঘুমানো যাবে, নিষেধ নয়।
(ঙ)
বাদ আসর ও বাদ মাগরিব যেহেতু ইবাদতের সময়,তাই আপনার আম্মু অন্য সময়ে ঘুমাবেন বা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।এটাই উনার জন্য উত্তম হবে।যতটুকু আমরা জানি স্বাস্থ্যর জন্য ভালো হবে।বাদ এশা থেকে নিয়ে ফজর পর্যন্ত এবং বাদ জোহর থেকে নিয়ে আসর পর্যন্ত ঘুমানো-ই সুস্বাস্থ্যর জন্য উপকারী হিসেবে সর্বত্রই বিবেচিত।হ্যা,কোনো কারনে যদি আপনার মা উক্ত সময়ে ঘুমোতে না পারেন,এবং বাদ আসর উনার ঘুম আসে,তাহলে তিনি ঘুমোতে পারবেন।উনার জন্য নিষিদ্ধ হবে না।
(চ)
কপালে হাত দেয়া জায়েয।
(ছ)
আপনার এ প্রশ্ন বুঝতে গিয়ে কনফিউশনে আছি।যা বুঝেছি সেই আলোকে বলছি,
ইমাম সাহেব মুক্তাদি থেকে এক বিগত অগ্রে থাকবেন।ইমাম পরবর্তীতে নিয়ত করতে পারবেন।অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের পুরুষের পাশাপাশি দাড়াতে পারবে।আর প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েরা যদি একজন মানুষ দাড়াতে যতটুকু জায়গার প্রয়োজন ততটুকু জায়গা মাঝখানে খালি রেখে দাড়ায়,তাহলে এক্ষেত্রে মহিলা এবং পুরুষ কারো নামায ফাসিদ হবে না।
(জ)
সকল অবস্থায়ই জায়েয।তবে প্রাণীর হক আদায় করে লালন পালন করতে হবে।