আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
349 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) আমি যদি সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ এইসব এর বাংলা টা কয়েক বার বলি আমার কি আরবিতে এইসব বললে যে সওয়াব হতো তা হবে?
খ) অন্য দোয়া যদি বাংলাতে পড়ি একই ফযিলত পাওয়া যাবে?
গ)কুরআন এর বাংলা অর্থ পড়লে কি রকম সওয়াব?
ঘ) আমার আম্মু আসর ও মাগরিবের পরে ঘুমান না। বলেন যে,  এই সময়ে ঘুমালে সমস্যা হয়। এইটা কি ইসলাম এ বলা আছে কোথাও?
ঙ) আমার আম্মু সারাদিন কাজের পরে আসর ও মাগরিবের পরে ঘুমান না ফলে অনেক দুর্বল হয় পড়েন রাতের বেলা আর শরীরও খারাপ করে কিছুদিন পর পর কম ঘুমানোর ফলে। তিনি যদি সুন্নাহ না মেনে আসরের নামায পড়ে আর মাগরিবের নামায পড়ে ঘুমান তাহলে তা তার জন্য কতটুকু ভালো? ইসলামিক দিক থেকে জানতে চাচ্ছি।
চ) ফরয নামাযের পরে আসতাগফিরুল্লাহ পড়ার সময় অনেকে কপাল ও মাথার অগ্রভাগে হাত দিয়ে থাকেন। এইটা কি বিদয়াত?  এর কারন কি?

ছ) আহলে হাদিসের এক ভাই ফজরের নামাযের জামাতে তার ছোট দুই মেয়েকে (অপ্রাপ্তবয়স্কা মনে হইছে দেখে.. ছোট) নিয়ে ছেলেদের কাতারের মধ্যেই এক পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন দ্বিতীয় কাতারেই। আমি জানি যে,  ইমাম যদি তাদের নিয়ে ইক্তিদার নিয়ত না করে তবে বাকি সবার নামায হবে কিন্তু ঐ দুই মেয়ের নামায হবে না যদি তারা প্রাপ্ত বয়স্কা হয়। আর ইমাম যদি ঐ মেয়েদের নিয়ে ইক্তিদার নিয়ত করে তাহলে তার পাশে ও পিছের কারো নামায হবে না যদি তারা প্রাপ্ত বয়স্কা হয়।(এই জানা কি ঠিক?)
প্রশ্ন হলো,
 i)ঐ দুই মেয়ের কি নামায হয়েছে? (প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্কা দুইভাবেই বলবেন।) যদি ইমাম তাদের বাদে ইক্তিদা করে

ii) বাকিদের নামায হয়েছে? (প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্কা দুইভাবেই বলবেন)
আর
,ii) যদি মেয়েরা অন্য জায়গায় দাঁড়াতো, তাহলে কি ইমামের আলাদা করে ইক্তিদা করা লাগতো? (যদি অন্য জায়গায় দাঁড়ানোর ফলে ইমাম তাদের না দেখে তবে কি হবে?)

জ) ঘরে বা চিড়িয়াখানায় পাখি বা খরগোশ বা অন্য প্রাণী(কোন কাজে না, এমনি শখের বশে বা মানুষকে দেখিয়ে টাকা কামানো) খাঁচায় আটকে পালা জায়েয? (প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্কা দুইভাবেই বলবেন)
closed

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
জ্বী,সুবহানাল্লাহ এবং আলহামদুলিল্লাহ এর বাংলা তরজমা বললেও সওয়াব পাওয়া যাবে।তবে ইসলামি পরিভাষাকে তার নিজস্ব সূরতে রাখাই উত্তম।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ অন্যত্র বলেন,
ﻭﺃﻣﺎ ﻣُﺨﺎﻃﺒﺔ ﺃﻫﻞ ﺍﻻﺻﻄﻼﺡ ﺑﺎﺻﻄﻼﺣﻬﻢ ، ﻭﻟﻐﺘﻬﻢ : ﻓﻠﻴﺲ ﺑﻤﻜﺮﻭﻩ ﺇﺫﺍ ﺍﺣﺘﻴﺞ ﺇﻟﻰ ﺫﻟﻚ ، ﻭﻛﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﺻﺤﻴﺤﺔً ، ﻛﻤﺨﺎﻃﺒﺔ ﺍﻟﻌﺠﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻭﻡ ﻭﺍﻟﻔُﺮﺱ ﻭﺍﻟﺘُّﺮﻙ ﺑﻠﻐﺘﻬﻢ ﻭﻋُﺮﻓﻬﻢ ، ﻓﺈﻥَّ ﻫﺬﺍ ﺟﺎﺋﺰٌ ﺣﺴﻦ ﻟﻠﺤﺎﺟﺔ ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻛﺮﻫﻪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳُﺤْﺘَﺞْ ﺇﻟﻴﻪ ….
" ﺩﺭﺀ ﺗﻌﺎﺭﺽ ﺍﻟﻌﻘﻞ ﻭﺍﻟﻨﻘﻞ " ( 1 / 43 ) .
ইসলামী পরিভাষাকে যে কোন ভাষার  ভাষায় রুপান্তিত করতে পারবে,যেমন রোম,পারস্য,তুর্কি ইত্যাদিরা ইসলামী পরিভাষাকে তাদের ভাষায় রুপান্তিত করে থাকে, এটা মাকরুহ হবে না বরং উত্তম হবে যদি তার প্রয়োজন পড়ে,প্রয়োজন অতিরিক্ত রুপান্তিকরণ ফুকাহগণ অপছন্দ করে থাকেন। (আক্বলও নক্বল-১/৪৩)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/511

(খ)
জ্বী,সওয়াব পাওয়া যাবে,তবে আরবীতে বলাই উত্তম।

(গ)
আরবীতে কুরআন তেলাওয়াত পৃথক একটি ইবাদত।এবং কুরআন তরজমা শিক্ষা করাও পৃথক একটি ইবাদত। সুতরাং কুরআনের তরজমা পড়ার দ্বারা আরবী কুরআন তিলাওয়াতের ফযিলত বা সওয়াব পাওয়া যাবে না। এবং তা আদায়ও হবে না।

(ঘ)
আল্লাহকে দিনকে বানিয়েছেন কাজের জন্য আর রাতকে বানিয়েছেন ঘুমের জন্য।হ্যা,দিনের প্রথমাংশে কাজ করার পর ক্লান্তিকে দূর করার জন্য বাদ জোহর বিশ্রাম করা সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে।আছরের পর ও মাগরিবের পর যেহেতু যিকির আযকার ও ইবাদতের সময়, তাই এ সময় না ঘুমানো-ই উত্তম। হ্যা,প্রয়োজনে ঘুমানো যাবে, নিষেধ নয়।

(ঙ)
বাদ আসর ও বাদ মাগরিব যেহেতু ইবাদতের সময়,তাই আপনার আম্মু অন্য সময়ে ঘুমাবেন বা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।এটাই উনার জন্য উত্তম হবে।যতটুকু আমরা জানি স্বাস্থ্যর জন্য ভালো হবে।বাদ এশা থেকে নিয়ে ফজর পর্যন্ত এবং বাদ জোহর থেকে নিয়ে আসর পর্যন্ত ঘুমানো-ই সুস্বাস্থ্যর জন্য উপকারী হিসেবে সর্বত্রই বিবেচিত।হ্যা,কোনো কারনে যদি আপনার মা উক্ত সময়ে ঘুমোতে না পারেন,এবং বাদ আসর উনার ঘুম আসে,তাহলে তিনি ঘুমোতে পারবেন।উনার জন্য নিষিদ্ধ হবে না।


(চ)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/957

কপালে হাত দেয়া জায়েয।

(ছ)
আপনার এ প্রশ্ন বুঝতে গিয়ে কনফিউশনে আছি।যা বুঝেছি সেই আলোকে বলছি,

ইমাম সাহেব মুক্তাদি থেকে এক বিগত অগ্রে থাকবেন।ইমাম পরবর্তীতে নিয়ত করতে পারবেন।অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের পুরুষের পাশাপাশি দাড়াতে পারবে।আর প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েরা যদি একজন মানুষ দাড়াতে যতটুকু জায়গার প্রয়োজন ততটুকু জায়গা মাঝখানে খালি রেখে দাড়ায়,তাহলে এক্ষেত্রে মহিলা এবং পুরুষ কারো নামায ফাসিদ হবে না। 
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/9571


(জ)
সকল অবস্থায়ই জায়েয।তবে প্রাণীর হক আদায় করে লালন পালন করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 448 views
...