আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
668 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (20 points)
সূরা নিসার ১৫৮ আয়াতে উল্লেখ আছে ঈসা (আঃ) কে আল্লাহ নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাকে যে আসমানে তুলে নেয়া হয়েছে এমন কোন আয়াত বা হাদীস আছে কি? নয়তো আল্লাহ তাকে আসমানে রেখেছেন তা আমরা কি করে বলতে পারি? অন্যত্রও তো তাঁকে রাখা হতে পারে।*

মিরাজে রাসূল(সা) উনাকে ও ইয়াহিয়া (আঃ) কে ৩য় আসমানে দেখেছিলেন এটা কি তার প্রমাণ? ঈসা (আ) কি জীবিতাবস্থায় এবং ইয়াহিয়া (আ) আখিরাতের জীবনে একত্রে আছেন?

এ সংক্রান্ত কিয়ামতের সময়কার যে কয়টা হাদীস দেখেছি তাতে উনার আসমান থেকে অবতরণের কথা সরাসরি বলা নেই। বরং উনি আসবেন, অবতরণ করবেন এমন কথা আছে। এর কারণ কি? নাকি এটা এজন্য যে উনি আসমানে আছেন এটা সবাই জানে তাই তা বলার প্রয়োজন হয়নি।

*যেহেতু এ সম্পর্কিত মিরাজের হাদীসটা জানা আছে তাই ওটা বাদে বাকিগুলো উল্লেখ করবেন, প্লিজ এবং ওটার জায়গায় ওটা ব্যাখ্যা করবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন, 
وَقَوْلِهِمْ إِنَّا قَتَلْنَا الْمَسِيحَ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ رَسُولَ اللَّهِ وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ وَلَـٰكِن شُبِّهَ لَهُمْ ۚ وَإِنَّ الَّذِينَ اخْتَلَفُوا فِيهِ لَفِي شَكٍّ مِّنْهُ ۚ مَا لَهُم بِهِ مِنْ عِلْمٍ إِلَّا اتِّبَاعَ الظَّنِّ ۚ وَمَا قَتَلُوهُ يَقِينًا
আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি। 
بَل رَّفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا
বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
وَإِن مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ ۖ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا
আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্থিত হবে।( সূরা নিসা-১৫৭-১৫৮-১৫৯)

আল্লাহ নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন, আর আল্লাহ আরশে আছেন। আর আরশ এই পৃথিবীর উপরে। সুতরাং এ হিসেবে বলা যায় যে, ইসা আঃ কে আল্লহ তা’আলা আসমানে তুলে নিয়েছেন। আরবী গ্রামারে অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তি নিচের আয়াতের দিকে লক্ষ্য করলেই মূল ঘটনাটা বুঝতে পারবে। 
আল্লাহ তা’আলা বলেন, 
إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَىٰ إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِلَىٰ يَوْمِ الْقِيَامَةِ ۖ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো।(সূরা আলে-ইমরান-৫৫) 

উনি আসমানে আছেন এটা সবাই জানে তাই তা বলার প্রয়োজন হয়নি। কেননা কুরআন স্পষ্ট ভাষায় সেটাকে ঘোষণা দিয়েছে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
উত্তর দিন, প্লিজ
by (589,140 points)
আপনাকে কে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। 
by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 
by (20 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...