আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
509 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
closed by

ক)https://ifatwa.info/13559/show=13559#q13559 তে বলেছেন, কেউ আমাকে খোঁটা দিলে তা অন্যকে বলা উচিত না। যদিও বললেও সাহায্য চাওয়ার জন্য বলা যাবে।
আমার প্রশ্ন হলো,
i) https://www.ifatwa.info/1715 তে বলা আছে গীবত কখন কখন জায়েয। এর 5নং পয়েন্ট হলো, প্রকাশ্য গুনাহ করা কারো কথা বলে দেওয়া যা https://ifatwa.info/13559/show=13559#q13559 এইখানেও বলেছেন। তাহলে আমাকে খোঁটা দেওয়ার কথা এম্নিতেই আমি অন্যকে বলা কেন গীবত হবে? সে তো প্রকাশ্যই আমাকে খোঁটা দিলো

ii)https://ifatwa.info/11325/?show=11358#a11358
আর এখানেও বলেছেন, স্বান্তনা বা ভালো উপদেশ পাওয়ার জন্য অন্যকে কিছু বলা যাবে। তাতে গুনাহ নাই। খোঁটাকারীর কথাতে তো মনে কষ্টও লাগে তা অন্যকে শেয়ার করলে ভালো লাগে, যদিও স্বান্তনা না পাই। তাহলেও কি গীবত হবে? কারণ https://ifatwa.info/16692/?show=16692#q16692 এইখানে বলেছেন, শুধু কষ্ট লাঘবের জন্য বলা যাবে না।

iii) তাহলে কিছু হবে না বললেও। কিন্তু না বলাই উত্তম। কিন্তু না বলা কেন উত্তম?

খ)আর কারো কাছে মাফ চাওয়ার পর সে মুখোমুখি বলল মাফ করেছে কিন্তু মন থেকে মাফ করে নি,,,এক্ষেত্রে কি করনীয় হতে পারে??

গ)https://ifatwa.info/16934/?show=16934#q16934 এর ক্ষেত্রগুলো কেন গীবত না?

ঘ)https://ifatwa.info/16593/?show=16593#q16593 এ বলেছেন, অন্তর এর গীবত হিংসার মধ্যে পড়ে।
আবার,https://ifatwa.info/14555/?show=14555#q14555 এ বলেছেন, অন্তর এর গীবতে রোযার ফযিলত কমে না।বুঝলাম না

ঙ) ভার্সিটির কোন মেয়ে যদি প্রকাশ্যে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে সিগারেট খায় তা অন্য দ্বীনদার দের বলে দেওয়া (সংশোধন এর উদ্দেশ্য ছাড়া) কি গীবত? এইটা তো ভার্সিটিতে প্রকাশ্য গুনাহ করছে তারা। আবার আমি বললাম দ্বীনদারদের যেখানে তাদের এইসব দিকে আগ্রহও ছিলো না যে আমার কথা শুনে আগ্রহ হারাবে খারাপ পথে যাওয়ার। আবার মেয়েটা এইসব শুনলে মন খারাপের একটা ব্যাপারও ছিলো।

চ)https://ifatwa.info/5101/?show=5101#q5101  এর ক তে বলেছেন, অন্যের সাবধানতার জন্য বলা যাবে। কিন্তু আমি বলার সময় সেখানে যদি শুধু ছেলেই থাকে(কোন মেয়ে থাকলে সে এইসব অপমানের ভয়ে হয়তো এই খারাপ কাজ করতো না, কিন্তু ছেলেদের মাঝে বলার ফায়দা কি? তাহলে তো গীবত হয়ে যাবে আপনার ভাষ্যমতে।) অথচ তার দোষটি ছিল প্রকাশ্য। যা বলে বলে সেসব ছেলেদের মা বোনদের দ্বারা খারাপ মেয়েদের কানে পর্যন্ত পৌঁছানো যেত। ফলে খারাপ মেয়েরা ভয় পেত। এইটা কি গীবত হবে তাহলে?

ছ) এক জায়গায় বলেছেন, মদ খাওয়ার কথা বলে দিলে গীবত হবে না কারণ তাতে অন্য মানুষরা ভয় পাবে মদ খেতে। তাহলে আমার 'ঙ' নং প্রশ্নে গোপনে সিগারেট খেলে কেন বলতে পারবো না? এইটা বললেও তো ছড়াতে ছড়াতে অন্য মেয়েরাও ভয় পাবে খেতে।  এইভাবে কি চিন্তা করা যাবে কিনা? 

জ)https://ifatwa.info/11097/?show=11097#q11097  এ বলেছেন, সেলিব্রিটিকে ছবি তৈরী করে পচালে গীবত হবে। কিভাবে? 

নায়ক নায়িকেদের ছবি নিয়ে তাদেরকে ব্যঙ্গ করলে কেন গীবত হবে? আমি তো এইভাবে তাদের দাম মানুষদের কাছে কমানোর জন্য করছি যেন মানুষ আর তাদের ফলো না করে,এই নিয়তে করলেও গীবত হবে?

ঝ) ধরুন, কোন কাজ সম্পর্কে আমাকে বাসায় জিজ্ঞেস করলো। উত্তর দিতে যেয়ে আমাকে কারো সম্পর্কে গীবত করতে হবে নাহলে উত্তর দেওয়া যাচ্ছে না। তবে উত্তর কিভাবে দিবো? না দিলে সমস্যা আছে? আর দিলেও কি গীবত হবে?

closed

1 Answer

+1 vote
by (589,680 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
প্রকাশ্য গোনাহ করা কারো অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে তার গিবত করা যায়।কিন্তু কেউ এক দুইবার অনিচ্ছাকৃত করে নিলে তার গিবত না না করা।সেই পার্থক্যর দরুণ আমরা এমনটা বলেছি।জাযাকুমুল্লাহ।
সেইজন্য আমরা বলছি খোটা প্রদাণকারী গিবত না করাই উত্তম।কেননা অনিচ্ছাকৃত করার দরুণ সে এক সময় তার ভুল বুঝতে পেরে সে তাওবাহ করে নিবে।

(খ)
কেউ মুখ দ্বারা মাফ করার কথা বলার পর যাতে সে অন্তর দ্বারাও মাফ করে দেয়,সেজন্য তার সাথে ভালো ও উত্তম আচরণ করতে হবে। তার সাথে ভালো ও উত্তম আচরণ করার পরও যদি সে মাফ না করে, তাহলে এক্ষেত্রে আপনি তার কাছে আর দায়বদ্ধ থাকবেন না।সে কিয়ামতের দিন আপনাকে আর আটকাতে পারবে না।

(গ)
গিবত হল,কাউকে সমাজে নিচু করার স্বার্থে তার দুর্নাম রটনা করা।কিন্তু এখানে কেউ একজন তার অভিমত বা চয়েজকে ব্যক্ত করছে। কারো স্বভাব চরিত্র নিয়ে আলোচনা করছে না।বরং একজনের প্রকাশ্য একটা জিনিষ সম্পর্কে তার মতামতকে ব্যক্ত করছে, সুতরাং এটা গিবত হবে না।

(ঘ)
অন্তরের গিবতের হিংসার কাছাকাছি।আর হিংসার কাছকাছি কোনো জিনিষ রোযার ফযিলত কমানোর কোনো দলীল প্রমাণ নাই।

(ঙ)
যদি মেয়েটা লুকিয়ে সিগারেট খায়,তাহলে তার এ খবর বলে দেওয়া গিবত। আর প্রকাশ্যে খেলে তখন তা গিবত হবে না।


(চ)
যেভাবেই হোক যদি এদ্বারা অন্যকে বাচানো কোনোভাবে সম্ভব হয়,তাহলে এক্ষেত্রে গিবত করা যাবে।নতুবা করা যাবে না।

(ছ)
মদ খাওয়া হারাম। এতে কোনো সন্দেহ নাই। সিগারেট মাকরুহে তাহরীমি। দলীল শক্তিশালি না হওয়ার কারণে সিগারেটকে হারাম বলা যাবে না। 
মদ যদি কেউ প্রকাশ্য খায়, এবং নিয়মিত খায়, তাহলে বলা যাবে, এবং সিগারেট যদি কেউ নিয়মিত খায়, তাহলে তার আলোচনা করা যাবে, গীবত হবে না। 
(জ)
হ্যা, যাতে করে তাদেরকে মানুষ অনুসরণ না করে, সেই জন্য তাদের মন্দ দিক বা তাদের গোনাহের আলোচনা লোকদের সামনে করা যাবে। তবে তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে ইসলাম সমর্থন দেয় না। 

(ঝ)
এমতাবস্থায় আপ্রাণ চেষ্টা করবেন,ঐ ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করার অথবা ঐ প্রশ্নটির জবাব না দেয়া।শতচোষ্টার পরও যদি পারা সম্ভব না হয়,তাহলে আপনি তার নাম উল্লেখ পূর্বক ঘটনা বর্ণনা করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে
by (22 points)
edited by
প্রশ্ন জ আবার বুঝিয়ে বলতে বলেছেন। 

তা হলো, 

নায়ক নায়িকেদের ছবি নিয়ে তাদেরকে ব্যঙ্গ করলে কেন গীবত হবে? আমি তো এইভাবে তাদের দাম মানুষদের কাছে কমানোর জন্য করছি যেন মানুষ আর তাদের ফলো না করে
এই নিয়তে করলেও গীবত হবে?

by (22 points)
ছ প্রশ্নটি করেছি ভালো মত আবার। দেখিয়েন। 
by (22 points)
কমেন্ট এর উত্তর দেওয়া হয়নি জাযাকাল্লাহ খাইরান 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...