আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম,
সমাজে আজকাল নানা ব্যাপারে অন্যায় অত্যাচার দেখা যাচ্ছে। যেমন- জিনিসের বাড়তি দাম ইত্যাদি  বিষয়।  এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করাও কি গীবত? আবার কারো অপর কেউ কোন ব্যপারে অন্যায় করছে মনের দুঃখে কেউ যদি কারো কাছে সেটা শেয়ার করে তাহলে সেটাও কি গীবতের পর্যায় পড়ে? সেই ব্যক্তি হয়তোবা শুনতে চাইনি কিন্তুু কাছের মানুষ দেখে শুনতে হয়েছে। যেই ব্যক্তিকে বলেছে সে হয়তো শুনল কিন্তুু কাউকে সেই ব্যাপারে বললো না তাহলে কি আল্লাহ তাকে গীবত শোনার পর্যায় অন্তর্ভুক্ত করবেন?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


গীবতের গুনাহ খুবই মারাত্মক। 
তাই এর থেকে হেফাজতে থাকতে হবে।  

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ [١٠٤:١] 

প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ, {সূরা হুমাজা-১}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ أَبِي سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ” فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ  

হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}

★সমাজের অন্যায় অবিচার,যেমনঃ জিনিসের বাড়তি দাম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বলা নাজায়েজ নয়। 
এটি অন্যায়ের প্রতিবাদ। 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
কিছু কারনে গীবত করা জায়েজ আছে,তার মধ্যে অন্যতম কারন হলোঃ*    
জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।

*খারাপ কাজ বন্ধ করার জন্য সাহায্য চাইতে এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে যে তা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে।

★সুতরাং যদি  কারো অপর কেউ কোন ব্যপারে অন্যায় করে,সেক্ষেত্রে মনের দুঃখে সে যদি কারো কাছে সেটা শেয়ার করে, তাহলে দেখতে হবে যে এটি বন্ধ করা বা এর কোনো সমাধান করার শক্তি সেই ব্যাক্তির আছে কিনা?
যদি থাকে,তাহলে তাকে এটি বলা জায়েজ।
অন্যথায় জায়েজ নয়।
তবে তাকেও সেই অন্যায় কাজ থেকে বাঁচানোর জন্য বলা হলে,সেটি বলা যাবে।
যাতে করে সেও বেঁচে যায়।
,
এক্ষেত্রে অন্য কেউ সেই কথা শুনলে তার গুনাহ হবে।
তার জন্য উচিত হলো উক্ত মজলিস ত্যাগ করা।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...