বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
প্রকাশ্য গোনাহ করা কারো অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে তার গিবত করা যায়।কিন্তু কেউ এক দুইবার অনিচ্ছাকৃত করে নিলে তার গিবত না না করা।সেই পার্থক্যর দরুণ আমরা এমনটা বলেছি।জাযাকুমুল্লাহ।
সেইজন্য আমরা বলছি খোটা প্রদাণকারী গিবত না করাই উত্তম।কেননা অনিচ্ছাকৃত করার দরুণ সে এক সময় তার ভুল বুঝতে পেরে সে তাওবাহ করে নিবে।
(খ)
কেউ মুখ দ্বারা মাফ করার কথা বলার পর যাতে সে অন্তর দ্বারাও মাফ করে দেয়,সেজন্য তার সাথে ভালো ও উত্তম আচরণ করতে হবে। তার সাথে ভালো ও উত্তম আচরণ করার পরও যদি সে মাফ না করে, তাহলে এক্ষেত্রে আপনি তার কাছে আর দায়বদ্ধ থাকবেন না।সে কিয়ামতের দিন আপনাকে আর আটকাতে পারবে না।
(গ)
গিবত হল,কাউকে সমাজে নিচু করার স্বার্থে তার দুর্নাম রটনা করা।কিন্তু এখানে কেউ একজন তার অভিমত বা চয়েজকে ব্যক্ত করছে। কারো স্বভাব চরিত্র নিয়ে আলোচনা করছে না।বরং একজনের প্রকাশ্য একটা জিনিষ সম্পর্কে তার মতামতকে ব্যক্ত করছে, সুতরাং এটা গিবত হবে না।
(ঘ)
অন্তরের গিবতের হিংসার কাছাকাছি।আর হিংসার কাছকাছি কোনো জিনিষ রোযার ফযিলত কমানোর কোনো দলীল প্রমাণ নাই।
(ঙ)
যদি মেয়েটা লুকিয়ে সিগারেট খায়,তাহলে তার এ খবর বলে দেওয়া গিবত। আর প্রকাশ্যে খেলে তখন তা গিবত হবে না।
(চ)
যেভাবেই হোক যদি এদ্বারা অন্যকে বাচানো কোনোভাবে সম্ভব হয়,তাহলে এক্ষেত্রে গিবত করা যাবে।নতুবা করা যাবে না।
(ছ)
মদ খাওয়া হারাম। এতে কোনো সন্দেহ নাই। সিগারেট মাকরুহে তাহরীমি। দলীল শক্তিশালি না হওয়ার কারণে সিগারেটকে হারাম বলা যাবে না।
মদ যদি কেউ প্রকাশ্য খায়, এবং নিয়মিত খায়, তাহলে বলা যাবে, এবং সিগারেট যদি কেউ নিয়মিত খায়, তাহলে তার আলোচনা করা যাবে, গীবত হবে না।
(জ)
হ্যা, যাতে করে তাদেরকে মানুষ অনুসরণ না করে, সেই জন্য তাদের মন্দ দিক বা তাদের গোনাহের আলোচনা লোকদের সামনে করা যাবে। তবে তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে ইসলাম সমর্থন দেয় না।
(ঝ)
এমতাবস্থায় আপ্রাণ চেষ্টা করবেন,ঐ ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করার অথবা ঐ প্রশ্নটির জবাব না দেয়া।শতচোষ্টার পরও যদি পারা সম্ভব না হয়,তাহলে আপনি তার নাম উল্লেখ পূর্বক ঘটনা বর্ণনা করতে পারেন।