ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)ইমাম আবু হানিফা যা বলেছিলেন,তার সবটাই আজ প্রচলিত নয়।বরং পরবর্তী ফুকাহাগণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধন করেছেন।তবে ইমাম আবু-হানিফা যে মূলনীতির আলোকে ফাতাওয়া দিয়েছিলেন,সেই মূলনীতি তথা 'কুরআন সুন্নাহ অধিক নিকটবর্তী থেকে মাস'আলা নির্ণয় করা' তা আজও অভ্যাহত রয়েছে।
(২)কোনো একজন মানুষের পক্ষে সবগুলো হাদীস পাওয়া বা জানা তখনকার যুগে সম্ভবপর ছিলনা।কেননা আজকের মত তখনকার সময়ে হাদীস লিপিবদ্ধ ছিলনা।সেই হিসাবে বলা যায়,কোনো হাদীস কোনো ইমামের অজানা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
(৩)চার মাযহাবের উপর ইজমা হয়ে গেছে,যাতে উম্মতের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা তৈরী না হয়।তাই বলা যায়,
সকল মাযহাব থেকে
অধিকতর সহীহ মত বিবেচনা করে মাস'আলা নির্ধারণ করার অদ্য কোনো সুযোগ নাই।
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন। (১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করার যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।