আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
263 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

মাজহাব এর ব্যপারে কিছু প্রশ্নের উত্তর আমার জানার ছিল। দয়া করে জানাবেনঃ
১/ ইমাম আবু হানিফা রহিমাউল্লাহ এর মাজহাব অর্থাৎ তিনি যা বলেছিলেন তা কি আজও হুবুহু সেরকম এ আছে(যেহেতু দ্বীন এর মধ্যেও ফিতনা প্রবেশ করে)?
২/ এটা কি সত্য যে ইমাম আবু হানিফা রহিমাউল্লাহ অনেক হাদিস এর খোঁজ পান নি যা পরবর্তী ইমাম গণ পেয়েছেন। এক্ষেত্রে হানাফি আলীমগণ কি করেন?
৩/ যেসব আলীম প্রতি টা মাঝাব এর মধ্যে অধিকতর সহীহ মত বিবেচনা করে মাস'আলা নির্ধারণ করেন তাদের ত্বাকলীদ করা যাবে কি??
৪/ একটি মাজহাব এর কোন আলীম যদি সহীহ কোন মত পায় যেটা কোন কারণে তার মাজহাব এর মত এর বিপক্ষে এক্ষেত্রে তিনি কি করেন??

জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)ইমাম আবু হানিফা যা বলেছিলেন,তার সবটাই আজ প্রচলিত নয়।বরং পরবর্তী ফুকাহাগণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধন করেছেন।তবে ইমাম আবু-হানিফা যে মূলনীতির আলোকে ফাতাওয়া দিয়েছিলেন,সেই মূলনীতি তথা 'কুরআন সুন্নাহ অধিক নিকটবর্তী থেকে মাস'আলা নির্ণয় করা' তা আজও অভ্যাহত রয়েছে।

(২)কোনো একজন মানুষের পক্ষে সবগুলো হাদীস পাওয়া বা জানা তখনকার যুগে সম্ভবপর ছিলনা।কেননা আজকের মত তখনকার সময়ে হাদীস লিপিবদ্ধ ছিলনা।সেই হিসাবে বলা যায়,কোনো হাদীস কোনো ইমামের অজানা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

(৩)চার মাযহাবের উপর ইজমা হয়ে গেছে,যাতে উম্মতের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা তৈরী না হয়।তাই বলা যায়,
সকল মাযহাব থেকে 
অধিকতর সহীহ মত বিবেচনা করে মাস'আলা নির্ধারণ করার অদ্য কোনো সুযোগ নাই।

(৪)https://www.ifatwa.info/2040 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন। (১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করার যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...