আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
359 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
reshown by
আমরা ৬ বছর আগে পরিবার কে না জানিয়ে হালাল থাকার জন্য নিজেরা বিয়ে করি,যদিও বিষয়টা পরিবারের অজান্তে উচিত হয় নি কিন্তু যেহেতু বিয়ে হয়ে আর এখন দুজনের পড়াশোনা শেষ হয়ার পর পরিবারে শুধু পছন্দ এর কথা বলা হয়েছে বিয়ের কথা গোপণ করে, কিন্তু আমার মানে মেয়ের পরিবার ছেলেকে মানছেন না,ছেলে পারিবারিক ব্যবসা করেন কোন চাকরিতে যোগ দেন নি।কিন্তু মেয়ের পরিবার চাচ্ছে সরকারি চাকরিজীবী,ছেলে মেয়ে দুজনই আলহামদুলিল্লাহ দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করে সম্পুরন কিন্তু মেয়ের পরিবার এসব না দেখে খালি চাকরি চাচ্ছে,মেয়েকেও চাকরি করার জন্য প্রেশার দিচ্ছে, মেয়ের বাবা সরকারি ১ম শ্রেনিতে চাকরি করতেন আর ছেলের পরিবার ব্যাবসায়ি ছেলের পরিবার রাজী। আমার তো স্বামির বাধ্য থাকাও ফরজ আবার বাবা মার অবাধ্য হলেও তো গুনাহ এই পরিস্থিতিতে কে বেশি হকদার আমার কাছে থেকে? স্বামি না বাবা মা? মেয়ের জন্য তো এত বছর এর বিয়েও ভেঙ্গে ফেলা ফিত্নার কারণ হয়ে দাঁড়াবে ভবিষ্যতে। বাবা মাও খুব প্রেশার এ রেখেছেন। আবার উনারাও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরছেন।উনারা খালি বলেন মানুষের কাছে কি পরিচয় দিবে তারা? তারা বলছেন যে ব্যবসা নাকি চাকরিজিবি পরিবারের মেয়ের সাথে মানায় না।। আবার কুফুর দিক থেকেও দ্বীনদারিতা বংশ মর্যাদায় ছেলের পরিবার উচু। এখন কি আমি বিয়ের কথা প্রকাশ করে আমার স্বামির কাছে চলে যাব বাবা মা অরাজী থাকলেও নাকি এভাবেই বাবা মা না বুঝা পরযন্ত বাবার ঘরেই বসে থাকব?নাকি বাবা মার বাধ্য হব? স্বামির হক তো নষ্ট হচ্ছে এভাবে বাবার বাড়ি থেকে আবার বাবা মার অবাধ্যতার গুনাহ ও হচ্ছে স্বামির কাছে চলে গেলে, শরিয়ত কোন বিষয় কে বেশি হকদার আর বেশি গুরুত্ব দেই? করণিয় কি আমাদের জন্য?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত বুঝাবে।মাতাপিতার পরামর্শে বিয়ে করবে।এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে।হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
আপনাদের জন্য এভাবে গোপনে চুরি করে বিয়ে করা কখনো উচিৎ হয়নি। বরং আপনাদের উচিৎ ছিল, অপেক্ষা করা এবং মাতাপিতার পরামর্শে নিজ জীবন পরিচালনা করা। যাইহোক এখন যখন বিয়ে হয়েই গেছে, তাই আপনি আপনার বাসায় বিয়ের কথা প্রকাশ করে দিবেন। যদি আপনার পরিবার না মানে তাহলে সে মাতাপিতাকে অবগত করে আপনি আপনার স্বামীর বাসায় চলে যেতে পারবেন।এক্ষেত্রে মাতাপিতার অবাধ্যতার গোনাহ হলেও আপনাদের বিবাহিত জীবন বৈধ হয়ে যাবে। আপনি ভবিষ্যত জীবনে নিজ মাতাপিতাকে সন্তুষ্ট করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...