জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সুরা হামিম আস সাজদাহ এর ৩১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
نَحۡنُ اَوۡلِیٰٓؤُکُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ فِی الۡاٰخِرَۃِ ۚ وَ لَکُمۡ فِیۡہَا مَا تَشۡتَہِیۡۤ اَنۡفُسُکُمۡ وَ لَکُمۡ فِیۡہَا مَا تَدَّعُوۡنَ ﴿ؕ۳۱﴾
আমরাই তোমাদের বন্ধু দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে। আর সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা কিছু তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা তোমরা দাবী করবে।
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে যাকারিয়াতে এসেছেঃ
ফেরেশতাগণ মুমিনদেরকে বলবে, তোমরা জান্নাতে মনে যা চাইবে তাই পাবে এবং যা দাবী করবে তাই সরবরাহ করা হবে। এর সারমর্ম এই যে, তোমাদের প্রতিটি বাসনা পূর্ণ হবে-তোমরা চাও বা না চাও। অতঃপর نُزُلا তথা আপ্যায়নের কথা বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, এমন অনেক নেয়ামতও পাবে, যার আকাঙ্খাও তোমাদের অন্তরে সৃষ্টি হবে না। যেমন মেহমানের সামনে এমন অনেক বস্তুও আসে যার কল্পনাও পূর্বে করা হয় না, বিশেষতঃ যখন কোন বড় লোকেরা মেহমান হয়।
এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যদি জান্নাতী ব্যক্তি নিজ গৃহে সন্তান জন্মের বাসনা করে, তবে গর্ভধারণ, প্রসব, শিশুর দুধ ছাড়ানো এবং যৌবনে পদাৰ্পন সব এক মুহুর্তের মধ্যে হয়ে যাবে। [তিরমিযী: ২৫৬৩]
★সুতরাং জান্নাতীরা চাইলে নিজের জান্নাতী মাহরাম আত্মীয় এর সাথে সাক্ষাত করতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০২)
রাজতন্ত্রে একটি দেশের প্রধান রাজা তার মৃত্যুর পর সন্তান হবে পরবর্তী রাজা । এভাবে চলবে । সে যোগ্য হোক বা না হোক তা দেখার প্রয়োজন নাই । সে রাজা হয়ে যাবে । সে যেভাবে খুশি রাজ্য চালাতে পারে । রাজ্যের সব কিছুরই মালিক সে হয় । প্রজা বা জনগণ তার উপর কথা বলতে পারে না । তার কোন জবাবদিহিতাও নেই কারো কাছে ।
,
★কিছু ইসলামী স্কলারগন এই পদ্ধতিকে পুরোপুরি ইসলাম বহির্ভুত বলে থাকেন।
قُلۡ مَنۡۢ بِیَدِہٖ مَلَکُوۡتُ کُلِّ شَیۡءٍ وَّ ہُوَ یُجِیۡرُ وَ لَا یُجَارُ عَلَیۡہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸۸﴾
বলুন, কার হাতে সমস্ত বস্তুর কর্তৃত্ব? যিনি আশ্রয় প্রদান করেন অথচ তাঁর বিপক্ষে কেউ কাউকে আশ্রয় দিতে পারে না, যদি তোমরা জান (তবে বল)।
(সুরা মু'মিনুন ৮৮)
قُلِ اللّٰہُمَّ مٰلِکَ الۡمُلۡکِ تُؤۡتِی الۡمُلۡکَ مَنۡ تَشَآءُ وَ تَنۡزِعُ الۡمُلۡکَ مِمَّنۡ تَشَآءُ ۫ وَ تُعِزُّ مَنۡ تَشَآءُ وَ تُذِلُّ مَنۡ تَشَآءُ ؕ بِیَدِکَ الۡخَیۡرُ ؕ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۶﴾
বলুন, ‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
(সুরা আল ইমরান ২৬)
অন্যান্য ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ
এটা ঠিক যে খেলাফত মূলত ইসলামের আসল নিযাম,পথ ও পদ্ধতি।
তবে রাজতন্ত্রের মাধ্যমে রাজা যদি আল্লাহর আঈন চালু করে,কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক দেশ পরিচালনা করে,তাহলে ইসলাম এমন রাজতন্ত্রকে নাজায়েজ বলেনা।