শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি জোরপূর্বক মৌখিক ভাবে স্ত্রীকে তালাক দেয়,তাহলে তালাক পতিত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ مَاهَكَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثٌ جَدُّهُنَّ جَدٌّ، وَهَزْلُهُنَّ جَدٌّ: النِّكَاحُ، وَالطَّلَاقُ، وَالرَّجْعَةُ حسن
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি কাজ এমন যা বাস্তবে বা ঠাট্টাচ্ছলে করলেও তা বাস্তবিকই ধর্তব্য। তা হলোঃ বিবাহ, তালাক ও স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা।
(আবু দাউদ ২১৯৪.তিরমিযী ১১৮৪, ইবনু মাজাহ ২০৩৯, ইরওয়া ১৮২৬, সহীহ আল জামি‘ ৩০২৭।)
کل تصرف یصح من الہزل کالطلاق والعتاق والنکاح یصح مع الإکراہ۔ (البحر الرائق ۸؍۷۵ زکریا، الفتاویٰ الہندیۃ ۵؍۳۳ زکریا، الدر المختار علی الشامي ۹؍۱۸۹ زکریا)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ কাজ যাহা ঠাট্টা করার দ্বারাও ছহীহ হয়, যেমন তালাক,গোলাম আযাদ,বিবাহ, জবরদস্তি মূলকও সেটি ছহীহ হবে।
★শরীয়তের বিধান হলো জবরদস্তি মূলক তালাক নামায় দস্তখত করে নিলে তালাক পতিত হয়না।
(নিজামুল ফাতওয়া ২/৮৯,৯০.৯৪)
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৩৭৯ তে আছেঃ
رجل أكره بالضرب والحبس على أن يكتب طلاق امرأته فلانة بنت فلان بن فلان فكتب امرأته فلانة بنت فلان بن فلان طالق لا تطلق امرأته كذا في فتاوى قاضي خان۔
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তিকে যদি নিজ স্ত্রীকে লিখিত তালাক দেওয়ার উপর প্রহার বা আটক করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়,তাহলে এই লেখার দ্বারা তালাক পতিত হবেনা।
وفی الشامیۃ (۲۳۶/۳):هذا وفي البحر أن المراد الإكراه على التلفظ بالطلاق فلو أكره على أن يكتب طلاق امرأته فكتب لا تطلق لأن الكتابة أقيمت مقام العبارة باعتبار الحاجة ولا حاجة هنا كذا في الخانية۔
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তিকে যদি নিজ স্ত্রীকে লিখিত তালাক দেওয়ার উপর জোর করা হয়,তাহলে এই লেখার দ্বারা তালাক পতিত হবেনা।
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু জবরদস্তি মূলক সেই নিকাহ নামায় সাইন করেছেন,তাই আপনার স্ত্রী তালাকে তাফবিজের অধিকার পাবেনা।