আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in সালাত(Prayer) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম
ফজর, মাগরিব এবং ইশা এই তিন ওয়াক্তের ফরজ সালাতে কিরাত উচ্চস্বরে পড়তে হয় জানি। যুহর ও আসরে নিম্নস্বরে।

১| আমার প্রশ্ন হলো -
** জাম'আত ব্যতিত একাকি ফজর, মাগরিব এবং ইশা এই তিন ওয়াক্তের ফরজ সালাতে কিরাত উচ্চস্বরে পড়া কী ফরজ? নাকি ওয়াজিব বা সুন্নাত।

২| **সালাতের মধ্যে ভুল করে শুধু সূরা ফাতিহাহ্ পড়ার পর হাত ছেড়ে দিলে কী সাহু সিজদাহ্ দিতে হবে? আবার যদি হাত বেধে সূরা মিলাই তাহলেও কি সাহু সিজদাহ্ দিতে হবে? নাকি না দিলেও হবে?

৩| জাম'আতে তাকবিরে তাহরিমা ব্যতিত বাকি তাকবির গুলো দেওয়া সুন্নাত জানি। **একাকি যখন সালাত আদায় করি তখনও কী তাকবিরে তাহরিমা ব্যতিত বাকি তাকবির গুলো দেওয়া সুন্নাত নাকি ফরজ?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
জাম'আত ব্যতিত একাকি ফজর, মাগরিব এবং ইশা এই তিন ওয়াক্তের ফরজ সালাতে কিরাত উচ্চস্বরে পড়া বা নিম্নস্বরে পড়া উভয়টির অনুমতি রয়েছে।
এক্ষেত্রে তার ইচ্ছা,চাইলে জোড়েও তিলাওয়াত করতে পারে।
চাইলে আস্তেও কিরাআত পড়তে পারে।
কোনোটিই আবশ্যকীয় নয়।
,
مطلب في الكلام على الجهر والمخافتة (قوله ويخافت المنفرد إلخ) أما الإمام فقد مر أنه يجهر أداء وقضاء (قوله في وقت المخافتة) قيد به لأنه إن قضى في وقت الجهر خير كما لا يخفى ح (قوله بعد طلوع الشمس) لأن ما قبلها وقت جهر فيخير فيه، لكن في بعض نسخ الهداية بعد طلوع الفجر (قوله كما في الهداية) قال فيها لأن الجهر مختص، إما بالجماعة حتما أو بالوقت في حق المنفرد على وجه التخيير ولم يوجد أحدهما 

ভাবার্থ- জাহরি কা'যা নামাযকে সির্রি সময়ে জামাতের সাথে আদায় করলে ইমাম সাহেব তখন উচ্ছস্বরে ক্বেরাত পড়বেন।তবে মুনফারিদ সির্রি সময়ে জাহরি নামাযকে কা'যা করার ইচ্ছাপোষণ করলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে তখন ক্বেরাতকে নিম্নস্বরে পড়বেন।কেননা উচ্ছস্বরে কুরআন তেলাওয়াত হয়তো জামাতের সাথে সীমাবদ্ধ নতুবা জাহরি সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ। অবশ্য জাহরি সময়ে মুনফারিদকে এখতিয়ার দেয়া হবে।সে চাইলে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে অথবা নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে।

(০২)
এতে সুন্নাতের খেলাফ হবে,উভয় ছুরতের কোনো ছুরতেই সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।    

(০৩)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِنَّمَا الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ: {وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] ، فَقُولُوا: آمِينَ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ،

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। নিশ্চয় ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং যখন ইমাম তাকবীর বলে তখন তোমরা তাকবীর বল। আর যখন কিরাত পড়ে তখন চুপ থাকো। যখন ইমাম তিলাওয়াত করে “ওয়ালাদ্বল্লীন” তখন আমীন বলো। আর যখন ইমাম রুকু করে তখন তোমরাও রুকু কর। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তখন বল রাব্বানা লাকাল হামদ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৮৮৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪৬, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯২১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৪৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭১৩৭]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
নামাজে তাকবিরে তাহরিমা ব্যাতিত অন্যান্য তাকবির সুন্নাত,চাই একাকী আদায় করা হোক,চাই জামা'আত করে পড়া হোক।
ইমাম হোক,মুক্তাদী হোক,সকলের জন্য অন্যান্য তাকবির সুন্নাত।  
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও  অন্যান্য তাকবির দেওয়া সুন্নাত।
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...