আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
943 views
in সালাত(Prayer) by (37 points)
জামআতে সালাত পড়ার সময় ইমাম যখন (আল্লাহু আকবর) বলে তাকবির দেয়, যেমন : রুকুতে যাওয়ার সময়, রুকু থেকে উঠার সময় (সামিআল্লাহ- হুলিমান হামিদাহ্ বলে), সিজদাহ্ এ যাওয়ার সময়, সিজদাহ্ থেকে উঠার সময়। তখন কি ইমামের পিছনে যারা মুসল্লী তারাও কি এই তাকবির গুলো নিম্নস্বরে দিবে?
সালাতের শুরুতে ইমাম (আল্লাহু আকবর) বলে সালাত শুরু করে তখন তো মুসল্লীদেরও সেই তাকবির নিম্নস্বরে দিয়ে সালাত শুরু করতে হয়। তাহলে অন্য  তাকবির গুলোও কি মুসল্লীদের দিতে হবে নাকি না দিলেও হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


নামাজে তাকবিরে তাহরিমা বলা এটা মুক্তাদির উপরেও ফরজ।

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ

হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। পবিত্রতা হল নামাযের চাবি। তাকবীরে তাহরীমা নামায বহির্ভূত বস্তুকে হারাম করে দেয়, আর সালাম তা হালাল করে দেয়। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৭৬, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৬১]

বিস্তারিত জানুনঃ 

তাকবীরা তাহরীমাটা ফরজ। কারণ, এটিকে নামাযের প্রবেশের মূল বলা হয়েছে। তাই এটি না পড়লে নামায হবে না। বাকি তাকবীরগুলো সুন্নত। তাই কেউ যদি ভুলে নাও পড়ে, তাহলে তার নামায হয়ে যাবে।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِنَّمَا الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ: {وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] ، فَقُولُوا: آمِينَ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ،

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। নিশ্চয় ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং যখন ইমাম তাকবীর বলে তখন তোমরা তাকবীর বল। আর যখন কিরাত পড়ে তখন চুপ থাকো। যখন ইমাম তিলাওয়াত করে “ওয়ালাদ্বল্লীন” তখন আমীন বলো। আর যখন ইমাম রুকু করে তখন তোমরাও রুকু কর। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তখন বল রাব্বানা লাকাল হামদ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৮৮৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪৬, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯২১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৪৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭১৩৭]
,
★মুক্তাদিদের উপর তাকবিরে তাহরিমা বলা ফরজ,সুতরাং তারা  নিম্ন  স্বরে তাকবিরে তাহরিমা বলবে।
অন্যান্য তাকবিরও তারা নিম্ন স্বরে বলবে,এটি সুন্নাত।
এ তাকবির আদায় না করলেও নামাজ হয়ে যাবে,তবে সুন্নাতের খেলাফ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...