আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in সালাত(Prayer) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
১)বেশ কয়েকদিন আগে ফজরের নামাজ ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে আদায় করেছি।এতটা ঘুমবোধ করছিলাম যে সালাত রত অবস্থায় চোখ লেগে আসছিল।যেমন, হয় তো দরুদ পড়তে বসেছি নামাজে,পড়তে পড়তে চোখ লেগে গেছে এবং কয়েক মূহুর্ত বুঝতে পারিনি কি পড়ছিলাম।তারপর আবার ঠিক করার চেষ্টা করেছি।এভাবে সালাত শেষ করেছি।

##আমার কি সালাত সম্পূর্ন হয়েছে??##

##না হলে,এই সালাত কি আবার কাযা আদায় করে নিবো?##

২) আমি আবাসিক কলেজ এ অধ্যয়নরত ছিলাম।সেখানে কিছুদিন অনেক পরিশ্রম এর কারনএ রাতে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম।এশার নামাজ এ (১) নাম্বার পরিস্থিতির মত অবস্থা হত।কিছু ক্ষেত্রে  দাড়িয়ে থেকে ঝিমিয়ে যেতাম।এরকম্ভাবে কয়দিন সালাত আদায় করেছি মনে নেই সঠিক।

##এ সালাতগুলো কি সম্পূর্ন হয়েছে??

##এরকম কয়দিন হয়েছে তা মনে নেই।যদি কাযা আদায় করতে হয় তবে তা কিভাবে আদায় করবো?

##বিতর ও কি কাযা আদায় করে নিবো?

৩)রংপুর থেকে ঢাকা ট্রেন যাওয়ার সময় ট্রেনের নামাজ ঘরে গিয়েছিলাম।সেখানে জায়গা স্বল্প ছিল এবং পুরুষরা সালাত আদায় করছিল।দেখে মনে হয়েছে আমার সেখানে সালাত আদায় করা সম্ভব ছিল না।পরে সিটে এসে বসে বসে এশার সালাত আদায় করেছি (বিতর সহ)।কিবলামুখী হয়ে সালাত পড়েছি কি না জানিনা।তবে কিবলামুখী "না "হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি ছিল আমার ধারনা অনুযায়ী ।আল্লাহ ই ভাল জানেন।

#এই সালাত কি আমি আবার আদায় করে নিবো?

#আদায় করতে হলে শুধু ফরজ আদায় করব নাকি বিতর সহ সুন্নাহ গুলো ও আদায় করা আবশ্যক হবে

#ফরজ সালাত কি দুই রাকাত পড়তে হবে না চার রাকাত।আমি এখন বাসায় অবস্থান করছি।

1 Answer

0 votes
by (593,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)উক্ত নামাযকে আপনি দোহড়িয়ে নিবেন। 

(২)উক্ত নামাযকে আপনি দোহড়িয়ে নিবেন। যদি মনে না থাকে যে, সর্বমোট কত ওয়াক্ত নামায আপনি এভাবে পড়েছেন, তাহলে আপনি চিন্তভাবনা করে সঠিকটা বের করে আপনি উক্ত নামাযগুলোকে দোহড়িয়ে নিবেন। 

(৩)https://www.ifatwa.info/573 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
এ সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে রাহমানিয়াতে(১/৩৪৮পৃঃ) সবিস্তারে বর্ণিত আছে,প্রয়োজনীয় অংশ নিচে উল্লেখ করা হচ্ছে......
এখানে তিনটি বিষয় জেনে রাখার দরকারঃ
১মঃ দাঁড়িয়ে নামায পড়া ।
২য়ঃ কিবলার দিকে মুখ রাখা ।
৩য়ঃ নিয়ম মুতাবিক রুকু-সিজদা সহ নামায পড়া । অর্থাৎ, ইশারায় রুকূ সিজদা না করা । 
যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে।

গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে । 

যানবাহনে যদি কেউ বিনা ওযরে বসে নামায পড়ে কিংবা নামায অবস্থায় কিবলা থেকে চেহারা ফিরে যায়, তাহলে নামায দুহরিয়ে নিতে হবে ।
(প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৮  ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়াহ-২ /১২০)

যেহেতু আপনি কিবলামুখী ছিলেন কি না ? তা জানা যায়নি, তাই আপনি উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...