ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি তারা যাকাতের টাকাকে যাকাতের আট খাতের কোনো একটিতে খরচ করে থাকে, তাহলে তাদের যাকাত বন্টন আপাদত দৃষ্টিতে অঠিক মনে হচ্ছে না।যাকাতের খাত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/699
ঐ আটটি খাতের সাথে তাদের কার্যক্রম কে মিলিয়ে নেবেন।যদি দেখেন যে,তারা আট খাতের বাহিরে যাচ্ছে না, তাহলে তাদের কার্যক্রম শরীয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ হবে না।
এখন প্রশ্ন হলো,
তারা কি যাকাতের সকল টাকাকে সঠিক খাতে ব্যবহার করছে?নাকি লোক দেখানো কিছু বিবরণী তারা ওয়েবসাইটে শো করাচ্ছে।প্রতি উত্তরে বলবো,এটা আল্লাহ-ই বেশী ভালে জানেন।অবশ্যই আমরা যারা তাদের ওখানে যাকাত দিতে ইচ্ছুক।আমাদের জন্য তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যাপ্ত খোজখবর নেয়া অতিব জরুরী।
দ্বিতীয় আরেকটি প্রশ্ন মনে জাগে,
এরকম কোনো প্রতিষ্টানের জন্য যাকাত উসূল করা কতটুকু যুক্তিসংগত?
উত্তরে বলা হবে,ইসলামের স্বর্ণালি যুগে সাধারণত এমন কোনো ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল না।বরং হয়তো সরকার যাকাত উসূল করতো, নতুবা ব্যক্তিগতভাবে যাকাত আদায় করা হতো।
এমন প্রতিষ্টানকে কি যাকাত দেয়া যাবে?
উত্তরঃ- আমরা জানি রাসূলুল্লাহ সাঃ মা'আয রাযি কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,যখন তুমি ইয়ামন দেশে পৌছাবে তখন তাদেরকে বলবে-যে,
فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ
আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর যাকাতকে ফরয করে দিয়েছেন,এই যাকাত তাদের এলাকার ধনীদের কাছ থেকে গ্রহণ কর হবে।এবং ততাদেরই গরীবদের মধ্যে সেই যাকাতকে বিতরন করা হবে।(সহীহ বুখারী-১৪৯৬)
উক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় যে,নিজ আত্মীয়দের মধ্য যাকাতের হক্বদার কেউ থাকলে তাকেই যাকাত দিয়ে দেয়া মুস্তাহাব।অর্থাৎ যে এলাকার যাকাত, সে এলাকার গরীবদের মধ্যেই তা বন্টন করে দেঢা উত্তম।
দ্বিতীয়ত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যামানায় আমওয়ালে জাহিরা তথা উট,ভেড়া,ছাগল ইত্যাদির যাকাত সরকার কর্তৃক গ্রহণ করা হলেও আমওয়ালে বাতিনা তথা স্বর্ণ, রূপা ইত্যাদির যাকাত সরকার কর্তৃক গ্রহণ করা হতো না।বরং এটা ব্যক্তিগতভাবে সবাই তাদের নিজ নিজ যাকাতকে বন্টন করতো।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত সকল বিষয় বিবেচনায় আমরা এটাই পরামর্শ দেবো যে,এই সমস্ত প্রতিষ্টানের যাকাত দিলে আপনার যাকাত আদায় হয়ে যাবে,যদি তারা সঠিক খাতে খরচ না করে তাহলে এক্ষেত্রে মূলত আপনার যাকাত আদায় হচ্ছে না,যদিও আপনার যিম্মা থেকে সেটা আদায় হয়ে যাবে।গরমিল করলে সে দায়ভার তাদেরই থাকবে।যাকাতের পরিপূর্ণ সওয়াব লাভের জন্য সঠিক খাত নির্বাচন করা অবশ্যই দরকারি। তবে আপনাকে বলবো হয়তো আপনি নিজের গরীব আত্মীয়-স্বজনকে নিজ হাতে যাকাত দিন।নতুবা নিজের পরিচিত কোনো বিশ্বস্ত প্রতিষ্টান বা ব্যক্তিবর্গকে যাকাত দিন।
(খ)ইসলামিক ফাউন্ডেশন কি সত্যিই সঠিক খাতে যাকাতকে ব্যবহার করে থাকে, না করে না? এ সম্পর্কে আমাদের কোনো জানাশোনা নাই । আপনি একটু তত্ব তালাশ নিয়ে দেখবেন। জাযাকাল্লাহ।
(গ) উক্ত টাকা যদি ভার্সিটি দেয়, তাহলে আপনার জন্য জায়েয আর ব্যাংক দিলে তার ব্যখ্যা রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1900 ব্যাংকে যদি সুদের টাকা আসে, তাহলে ঐ টাকাকে সদকাহ করতে হবে।
(ঘ) সকল ব্যাংকেরই কারেন্ট একাউন্ট সুদমুক্ত হয়ে থাকে। এবং মুদারাবা একাউন্ট সুদযুক্ত হয়ে থাকে। কোনটা সুদ যুক্ত আর কোনটা সুদ মুক্ত তা ব্যাংকের কাছ থেকে জেনে নিবেন।
(ঙ) দৈনিক ব্যয়াম করবেন, বুকে উমর লিখে ঘুমাতে পারেন। এটা অনেক বুজুর্গানে কেরাম বলে থাকেন। হ্যা, ভালো ঘুমের জন্য ঔষধ সেবন করতে পারেন।