আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
312 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
উস্তাদ বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে যাকাত দেয়।
এইজন্য আমাদের একাউন্ট থেকে ১০% কেটে রাখতো লাভের অংশ থেকে।
ক) এই কতটুকু হালাল পন্থা?
এইটা তো সুদ থেকে যাকাত দেওয়া হলো, যা হালালই না আসলে।

খ) ইসলামিক ফাউন্ডেশন আসলেই যাকাত দেয় ভালোভাবে?

গ) আমাকে ভার্সিটি থেকে বৃত্তির টাকা এবি ব্যাংক এ দেয়। এর জন্য আমাকে স্টুডেন্ট একাউন্ট হিসেবে যে একাউন্ট দিয়েছে তাতে সুদ আসে 6মাস পর পর। এখন বৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য আমি একাউন্ট চেঞ্জও করতে পারছি না। এক্ষেত্রে আমার কি করনীয় বুঝতে পারছিনা। আমার কি গুনাহ হচ্ছে সুদী লেনদেন করার জন্য?

ঘ) এবি ব্যাংক এর রিবা ফ্রি কারেন্ট একাউন্ট বা ইস্লামিক মুদারাবা একাউন্ট কী ইস্লামিক?  সেটা জানার কি উপায় আছে?

ঙ) কিভাবে স্বপ্ন দেখা কমানো যায়? আমি অনেক বেশি স্বপ্ন দেখছি। অদ্ভুত বা ভয়ের বা হাসির সবরকমই
closed

1 Answer

+1 vote
by (707,840 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)https://www.ifatwa.info/1397 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
যদি তারা যাকাতের টাকাকে যাকাতের আট খাতের কোনো একটিতে খরচ করে থাকে, তাহলে তাদের যাকাত বন্টন আপাদত দৃষ্টিতে অঠিক মনে হচ্ছে না।যাকাতের খাত সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/699

ঐ আটটি খাতের সাথে তাদের কার্যক্রম কে মিলিয়ে নেবেন।যদি দেখেন যে,তারা আট খাতের বাহিরে যাচ্ছে না, তাহলে তাদের কার্যক্রম শরীয়তের দৃষ্টিতে  অবৈধ হবে না।

এখন প্রশ্ন হলো,
তারা কি যাকাতের সকল টাকাকে সঠিক খাতে ব্যবহার করছে?নাকি লোক দেখানো কিছু বিবরণী তারা ওয়েবসাইটে শো করাচ্ছে।প্রতি উত্তরে বলবো,এটা আল্লাহ-ই বেশী ভালে জানেন।অবশ্যই আমরা যারা তাদের ওখানে যাকাত দিতে ইচ্ছুক।আমাদের জন্য তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যাপ্ত খোজখবর নেয়া অতিব জরুরী।

দ্বিতীয় আরেকটি প্রশ্ন মনে জাগে,
এরকম কোনো প্রতিষ্টানের জন্য যাকাত উসূল করা কতটুকু যুক্তিসংগত?
উত্তরে বলা হবে,ইসলামের স্বর্ণালি যুগে সাধারণত এমন কোনো ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল না।বরং হয়তো সরকার যাকাত উসূল করতো, নতুবা ব্যক্তিগতভাবে যাকাত আদায় করা হতো। 

এমন প্রতিষ্টানকে কি যাকাত দেয়া যাবে?
উত্তরঃ- আমরা জানি রাসূলুল্লাহ সাঃ মা'আয রাযি কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,যখন তুমি ইয়ামন দেশে পৌছাবে তখন তাদেরকে বলবে-যে,
فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ
আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর যাকাতকে ফরয করে দিয়েছেন,এই যাকাত তাদের এলাকার ধনীদের কাছ থেকে গ্রহণ কর হবে।এবং ততাদেরই গরীবদের মধ্যে সেই যাকাতকে বিতরন করা হবে।(সহীহ বুখারী-১৪৯৬)
উক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় যে,নিজ আত্মীয়দের মধ্য যাকাতের হক্বদার কেউ থাকলে তাকেই যাকাত দিয়ে দেয়া মুস্তাহাব।অর্থাৎ যে এলাকার যাকাত, সে এলাকার গরীবদের মধ্যেই তা বন্টন করে দেঢা উত্তম।

দ্বিতীয়ত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যামানায় আমওয়ালে জাহিরা তথা উট,ভেড়া,ছাগল ইত্যাদির যাকাত সরকার কর্তৃক গ্রহণ করা হলেও আমওয়ালে বাতিনা তথা স্বর্ণ, রূপা ইত্যাদির যাকাত সরকার কর্তৃক গ্রহণ করা হতো না।বরং এটা ব্যক্তিগতভাবে সবাই তাদের নিজ নিজ যাকাতকে বন্টন করতো।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত সকল বিষয় বিবেচনায় আমরা এটাই পরামর্শ দেবো যে,এই সমস্ত প্রতিষ্টানের যাকাত দিলে আপনার যাকাত আদায় হয়ে যাবে,যদি তারা সঠিক খাতে খরচ না করে তাহলে এক্ষেত্রে মূলত আপনার যাকাত আদায় হচ্ছে না,যদিও আপনার যিম্মা থেকে সেটা আদায় হয়ে যাবে।গরমিল করলে সে দায়ভার তাদেরই থাকবে।যাকাতের পরিপূর্ণ সওয়াব লাভের জন্য সঠিক খাত নির্বাচন করা অবশ্যই দরকারি। তবে আপনাকে বলবো হয়তো আপনি নিজের গরীব আত্মীয়-স্বজনকে নিজ হাতে যাকাত দিন।নতুবা নিজের পরিচিত কোনো বিশ্বস্ত প্রতিষ্টান বা ব্যক্তিবর্গকে যাকাত দিন।

(খ)ইসলামিক ফাউন্ডেশন কি সত্যিই সঠিক খাতে যাকাতকে ব্যবহার করে থাকে, না করে না? এ সম্পর্কে আমাদের কোনো জানাশোনা নাই । আপনি একটু তত্ব তালাশ নিয়ে দেখবেন। জাযাকাল্লাহ। 

(গ) উক্ত টাকা যদি ভার্সিটি দেয়, তাহলে আপনার জন্য জায়েয আর ব্যাংক দিলে তার ব্যখ্যা রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1900 ব্যাংকে যদি সুদের টাকা আসে, তাহলে ঐ টাকাকে সদকাহ করতে হবে। 

(ঘ) সকল ব্যাংকেরই কারেন্ট একাউন্ট সুদমুক্ত হয়ে থাকে। এবং মুদারাবা একাউন্ট সুদযুক্ত হয়ে থাকে। কোনটা সুদ যুক্ত আর কোনটা সুদ মুক্ত তা ব্যাংকের কাছ থেকে জেনে নিবেন। 

(ঙ) দৈনিক ব্যয়াম করবেন, বুকে উমর লিখে ঘুমাতে পারেন। এটা অনেক বুজুর্গানে কেরাম বলে থাকেন। হ্যা, ভালো ঘুমের জন্য ঔষধ সেবন করতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
উমর নাম কেন লিখবো বুঝলাম না উস্তাদ। জাযাকাল্লাহ খাইরান 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...