ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)অসম্ভবকে সম্ভবে নেমেছি দ্বারা তারা যদি আল্লাহর কুদরতের মুকাবিলা উদ্দেশ্য নেয়, তাহলে অবশ্যই তা কুফরি হিসেবে বিবেচিত হবে। আর যদি তাদের উদ্দেশ্য হয়, জ্ঞান বিজ্ঞানের সাহায্যে নতুন কিছু করা যা ইতিপূর্বে কেউ কখনো করেনি, তাহলে তা কুফরি হবে না। কেননা আল্লাহ নিজেই বলেন, কিয়ামত যত নিকটবর্তী হবে, যুগে যুগে নতুন নতুন বিয়ষ সমূহ প্রদর্শন করাবেন।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنفُسِهِمْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ ۗ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
এখন আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ট নয়?(সূরা ফুস্সিলাত-৫৩)
(২)যারা কাফির এবং যাদের মৃত্যুর পুর্বে ইসলাম গ্রহণ প্রসিদ্ধ নয়, তাদেরকে কাফির বলা যাবে। কেননা সকরাতুল মাওতের সময় ঈমান আনয়ন গ্রহণযোগ্য নয়।
(৩)যে ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ সু-প্রসিদ্ধ নয়, সে কাফির । তার মৃত্যু কুফরি অবস্থায় হয়েছে। কেননা সাকরাতুল মাওতের সময় কারো ঈমান আনয়ন গ্রহণযোগ্য নয়।
(৪)আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ كَفَرُوا امْرَأَتَ نُوحٍ وَامْرَأَتَ لُوطٍ ۖ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ فَخَانَتَاهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللَّهِ شَيْئًا وَقِيلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدَّاخِلِينَ
আল্লাহ তা’আলা কাফেরদের জন্যে নূহ-পত্নী ও লূত-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। তারা ছিল আমার দুই ধর্মপরায়ণ বান্দার গৃহে। অতঃপর তারা তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। ফলে নূহ ও লূত তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে রক্ষা করতে পারল না এবং তাদেরকে বলা হলঃ জাহান্নামীদের সাথে জাহান্নামে চলে যাও। (সূরা তাহরিম-১০)
অতঃপর আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ آمَنُوا امْرَأَتَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুস্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে যালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।(সূরা তাহরিম-১১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হযরত নুহ আঃ এবং লুত আঃ এর স্ত্রীদ্বয় কাফির ছিলেন। যে জন্য দুনিয়াতে শাস্তি পেয়েছে। আর ফিরআউনের স্ত্রী মু’মিন ছিলেন, যে জন্য উনাকে জন্নাত দেয়া হবে। কেননের বয়স কত ছিল? তা নির্দিষ্টকরে বিশুদ্ধসুত্রে কোথাও বর্ণিত হয়নি।
(৫) নামাযে মূলত নিয়ম হল যে, সাহু সিজদা ওয়াজিব হলে, তাশাহুদ পড়ার পরই সাহু সিজদা দিতে হয়, কিন্তু যদি কেউ শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর দুরুদ এবং দুআয়ে মাছুরাকে পড়ে নেয়, তাহলে নামায হয়ে যাবে, কেননা এক নামাযে অনেক সাহু সিজদা কারণ পাওয়া গেলেও এক সাহু সিজদাই যথেষ্ট হয়।