আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
955 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমার এক বান্ধবী মনে করে জন্মদিনে কেক কেটে পালন করা নিষিদ্ধ হলেও শুভেচ্ছা জানানো দোষের নয়, কারন তার বক্তব্য জন্মদিন বিশেষ কোন দিন না হলে নবী (সা.) কেন নিজের জন্মদিনে রোজা রাখতেন?
জন্মদিনে রোযা রাখার ব্যাপারটা যদি বিস্তারিত বলতেন উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
দিবস পালন করা নাজায়েয ও হারাম।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

জন্মদিন পালন করা অমুসলিদের রীতিনীতি ও তাদের আবিস্কৃত বিষয়।সুতরাং জন্মদিন পালন করা কখনো জায়েয হবে না।

যদি কারো জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু করতেই হয়, তাহলে সে যেন প্রতি সাপ্তাহের ঐ দিনে রোযা রাখে।
কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে উনার জন্ম হিসেবে এবং সর্বপ্রথম কুরআন নাযিল হয় হিসেবে এবং এ দিন আল্লাহর সামনে বান্দাদের আ'মলসমূহ পেশ হয় হিসেবে এবং এ দিনে নবুওত প্রাপ্ত হয়েছেন হিসেবে রোযা রাখতেন।শুধু এদিন নয় বরং আ'মল পেশ হয় হিসেবে বৃহস্পতিবারে ও রোযা রাখতেন।

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা রাখাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।কেননা শুধু জন্ম হয়েছেন হিসেবে সেদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ  রোযা রাখেন নি।বরং অনেকগুলো কারণে সেদিন রোযা রেখেছিলেন।


বিজাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।এবং এ হিসেবে কোনো অনুষ্টান মাহফিলেরও কোনো সুযোগ নেই।
এবং সে রকম অনুষ্টানে শরীক হওয়া ও জায়েয হবে না। তবে দিন তারিখ ঠিক না করে  ঈসালে সওয়াব হিসেবে কারো জন্য কেউ কোনো দু'আর আয়োজন করলে সেটা মন্দ হবে না।
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের অবশ্যই দু'আ করা উচিৎ এবং এটাই কাম্য।বিস্তারিত জানুন-


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন বক্তব্য এসেছে।কোনো হাদীসে এসেছে যে,এদিন যেহেতু বান্দার আ'মল আল্লাহর নিকট পেশ করা হয়,তাই রাসূলুল্লাহ এ দিন রোযা রাখতেন,যাতেকরে রোযা অবস্থায় আল্লাহর নিকট আ'মল পেশ হয়।

সুতরাং সোমবারের রোযাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালন বা এ দিনে শুভেচ্ছা জানানোর কোনো সুযোগ নেই।


জন্মদিন পালন বা কারো জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো স্পষ্টই নাজায়েয ও হারাম।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...