আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
(হাদিস শারীফ-টি  হচ্ছে মা ফাতেমা (রাঃ) এর ঘরে ৩ দিন যাবত খানা নাই। তাই *রাসুল (সাঃ) এর কাছ থেকে ছাগল আনতে গেসিলেন
.......)

এক মাওলানা উপোরক্ত ঘটনা বলতে গিয়ে  বললেন
হযরত আম্মাজান আ'ইশা (রাঃ) বলেন, "আমার মা বাবা রাসুল (সা:) এর উপর কুরবান হোক"

এখানে আম্মাজান (রাঃ) এর কুরবান দ্বারা উদ্দেশ্য কি আমি বুজতে সমস্যা হচ্ছে কোনো সমাধান পাচ্ছি না!

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


ছাহাবায়ে কেরামগন প্রায় অনেক সময় রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শানে উক্ত বাক্য (আপনার উপর আমার বাবা মা কুরবান হোক) ব্যবহার করেছেন।
,
অসংখ্য হাদীসে এর দৃষ্টান্ত রয়েছে।
যেমন হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ الْقَعْقَاعِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْكُتُ بَيْنَ التَّكْبِيرِ وَبَيْنَ الْقِرَاءَةِ إِسْكَاتَةً ـ قَالَ أَحْسِبُهُ قَالَ هُنَيَّةً ـ فَقُلْتُ بِأَبِي وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِسْكَاتُكَ بَيْنَ التَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ مَا تَقُولُ قَالَ " أَقُولُ اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ ".

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক, তাক্বীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করে থাকেন? তিনি বললেনঃ এ সময় আমি বলি-

‘‘হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও।’’ (বুখারী শরীফ ৭৪৪. মুসলিম ৫/২৭, হাঃ ৫৯৮, আহমাদ ৭১৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭০৮)


বুখারী শরীফের ৩২৪ নং হাদীসে এসেছেঃ

فَلَمَّا قَدِمَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ سَأَلْتُهَا أَسَمِعْتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَتْ بِأَبِي نَعَمْ ـ وَكَانَتْ لاَ تَذْكُرُهُ إِلاَّ قَالَتْ بِأَبِي ـ 

যখন উম্মু আতিয়্যা (রাঃ) আসলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলামঃ আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এরূপ শুনেছেন? উত্তরে তিনি বললেনঃ আমার পিতা তাঁর জন্য কুরবান হোক। হ্যাঁ, তিনি এরূপ বলেছিলেন। নবীর কথা আলোচিত হলেই তিনি বলতেন, “আমার পিতা তার জন্য কুরবান হোক।”
(বুখারী শরীফ ৯৩৫১, ৯৭১, ৯৭৪, ৯৮০, ৯৮১, ১৬৫২; মুসলিম ৮/১, হাঃ ৮৯০) (আ.প্র. ৩১৩, ই.ফা. ৩১৮)
,
قَالَ " فَتَصَدَّقْنَ " فَبَسَطَ بِلاَلٌ ثَوْبَهُ ثُمَّ قَالَ هَلُمَّ لَكُنَّ فِدَاءٌ أَبِي وَأُمِّي، فَيُلْقِينَ الْفَتَخَ وَالْخَوَاتِيمَ فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ.

অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সদাক্বাহ কর। সে সময় বিলাল (রাযি.) তাঁর কাপড় প্রসারিত করে বললেন, আমার মা-বাপ আপনাদের জন্য কুরবান হোক, আসুন, আপনারা দান করুন। তখন নারীগণ তাঁদের ছোট-বড় আংটিগুলো বিলাল (রাযি.)-এর কাপড়ের মধ্যে ফেলতে লাগলেন। 
(বুখারী ৯৭৯.৯৮; মুসলিম ৮/১, হাঃ ৮৮৪, আহমাদ ৩০৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯২২ শেষাংশ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯২৭)

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ قَالَ أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ وَيُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ أَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى فَرَسِهِ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنْحِ حَتَّى نَزَلَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلَمْ يُكَلِّمْ النَّاسَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَتَيَمَّمَ النَّبِيَّ وَهُوَ مُسَجًّى بِبُرْدِ حِبَرَةٍ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ ثُمَّ بَكَى فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ يَا نَبِيَّ اللهِ لاَ يَجْمَعُ اللهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي صلى الله عليه وسلم كُتِبَتْ عَلَيْكَ فَقَدْ مُتَّهَا

আবূ সালামাহ (রহ.) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) আমাকে বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মৃত্যুর খবর পেয়ে) আবূ বাকর (রাঃ) ‘সুন্হ’-এ অবস্থিত তাঁর বাড়ি হতে ঘোড়ায় চড়ে চলে এলেন এবং নেমে মসজিদে প্রবেশ করলেন। সেখানে লোকজনের সঙ্গে কোন কথা না বলে ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর ঘরে প্রবেশ করে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দিকে অগ্রসর হলেন। তখন তিনি একখানি ‘হিবারাহ’ ইয়ামানী চাদরে আবৃত ছিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখমন্ডল উন্মুক্ত করে তাঁর উপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু খেলেন, অতঃপর ক্রন্দন করতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর নাবী! আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আল্লাহ্ আপনার জন্য দুই মৃত্যু একত্র করবেন না। তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য অবধারিত ছিল তা তো আপনি ক্ববূল করেছেন।
(বুখারী ১২৪১.৩৬৬৯, ৪৪৫২, ৪৪৫৫, ৫৭১০) (১২৪২-৩৬৬৮, ৩৬৭০, ৪৪৫৩, ৪৪৫৪, ৪৪৫৭, ৫৭১১)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৯)

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ أُمَّ الْعَلاَءِ امْرَأَةً مِنْ الأَنْصَارِ بَايَعَتْ النَّبِيَّ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهُ اقْتُسِمَ الْمُهَاجِرُونَ قُرْعَةً فَطَارَ لَنَا عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ فَأَنْزَلْنَاهُ فِي أَبْيَاتِنَا فَوَجِعَ وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ وَغُسِّلَ وَكُفِّنَ فِي أَثْوَابِهِ دَخَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ فَشَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللهُ فَقَالَ النَّبِيُّ وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللهَ قَدْ أَكْرَمَهُ فَقُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَمَنْ يُكْرِمُهُ اللهُ فَقَالَ أَمَّا هُوَ فَقَدْ جَاءَهُ الْيَقِينُ وَاللهِ إِنِّي لأَ×رْجُو لَهُ الْخَيْرَ وَاللهِ مَا أَدْرِي وَأَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا يُفْعَلُ بِي قَالَتْ فَوَاللهِ لاَ أُزَكِّي أَحَدًا بَعْدَهُ أَبَدًا

আনসারী মহিলা ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বাই‘আতকারী উম্মুল ‘আলা (রাঃ) হতে বর্ণিত, (মাদ্বীনায় হিজরাতের পর) লটারীর মাধ্যমে মুহাজিরদের বণ্টন করা হচ্ছিল। তাতে ‘উসমান ইবনু মায‘ঊন (রাঃ) আমাদের অংশে পড়লেন, আমরা (সাদরে) তাঁকে আমাদের গৃহে স্থান দিলাম। এক সময় তিনি সেই রোগে আক্রান্ত হলেন, যাতে তাঁর মৃত্যু হল। যখন তাঁর মৃত্যু হল এবং তাঁকে গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরানো হল, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবেশ করলেন। তখন আমি বললাম, হে আবাস্-সায়িব! আপনার উপর আল্লাহ্র রাহমাত বর্ষিত হোক! আপনার ব্যাপারে আমার সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ্ আপনাকে সম্মানিত করেছেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি করে জানলে যে, আল্লাহ্ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আল্লাহ্ আর কাকে সম্মানিত করবেন? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার ব্যাপার তো এই যে, নিশ্চয় তাঁর মৃত্যু হচ্ছে এবং আল্লাহ্র কসম! আমি তার জন্য কল্যাণ কামনা করি। আল্লাহ্র কসম! আমি জানি না আমার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হবে, অথচ আমি আল্লাহ্র রাসূল। সেই আনসারী মহিলা বলেন, আল্লাহ্র কসম! অতঃপর এরপর হতে কোন দিন আমি কোন ব্যক্তিকে সম্বন্ধে পবিত্র বলে মন্তব্য করব না।  (বুখারী ১২৪৩.আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৭০)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   

قُرْبَان [قرب]
[কুর্বান] শব্দের অর্থঃ 
নৈকট্য,সান্নিধ্য,উৎসর্গ,কোরবানি।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কুরবান দ্বারা উৎসর্গ করা উদ্দেশ্য। 
নিজের সব চেয়ে মুহাব্বত,দামি বস্তুকে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জন্য উৎসর্গ করা উদ্দেশ্য। 
,
এটা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শানে সর্বোচ্চ সম্মানের বহিঃপ্রকাশ।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...