আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
reshown by

" আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের মনে যা উদয় হয় তা যতক্ষণ না সে মুখে বলে অথবা কার্যে পরিণত করে ততক্ষণ তা উপেক্ষা করেন। " (আবু দাউদ)

এখন - 

কিছু আয়াত-হাদিস এমন আছে যেখানে মনের ব্যাপারে বলা হয়েছে। যেমন- 

(i) "সেই সফলকাম হয়েছে যে নিজ আত্মাকে পবিত্র করেছে।" (সূরা আশ-শামস,আয়াত ৯)

(ii) "আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা বানী আদমের জন্য যিনার একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের যিনা হলো দেখা, জিহবার যিনা হলো কথা বলা, কুপ্রবৃত্তি কামনা ও খাহেশ সৃষ্টি করা (মনের যিনা) এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য অথবা মিথ্যা প্রমাণ করে।" (সহিহ বুখারি) 

 

উপরের হাদিসের সাথে এগুলো কি সাংঘর্ষিক??  যদি মনে খারাপ চিন্তা করি কিন্তু বাইরে প্রকাশ না করি তাহলে কি গুনাহ হবে?

 

এ সম্পর্কিত আরেকটি প্রশ্ন::

(২.) একজন প্রশ্ন করেছে যে, যদি আল্লাহ তাকওয়া দেখার জন্যই কুরবানি ওয়াজিব করতেন, তাহলে সরাসরি মনের অবস্থা দেখলেন না কেন?(নাউজুবিল্লাহ) মানে আল্লাহ তো মনের অবস্থা জানেনই, তাহলে কুরবানি করার দরকার কি? উনি তো এমনিতেই জানেন কার মনে কি আছে? এটা একজনের প্রশ্ন।

(৩.) আমারও প্রশ্ন হলো- আল্লাহ মনের অবস্থা জানেনই তাহলে ইবাদত করা প্রয়োজন কেন। আর কেও যদি রিয়া করে তাহলে এর সাথে ঐটার সম্পর্ক কি?

 

একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিবেন আশা করছি।

1 Answer

+1 vote
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لم تعْمل بِهِ أَو تَتَكَلَّم»

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের অন্তরে যে ওয়াস্ওয়াসাহ্ বা খটকার উদয় হয়, আল্লাহ তা‘আলা তা মাফ করে দিবেন, যতক্ষণ না তারা তা কার্যে রূপায়ণ করে অথবা তা মুখে প্রকাশ করে।
সহীহ : বুখারী ২৫২৮, মুসলিম ১২৭,মিশকাত ৬৩।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রথমে আমরা এই হাদীসের ব্যাখ্যা বুঝি নেই।

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ-
ব্যাখ্যা: (تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِىْ) ‘‘আমার কারণে আমার উম্মাতকে ক্ষমা করেছেন’’ এক বর্ণনাতে এমনটি উল্লেখ রয়েছে। এতে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, উম্মাতে মুহাম্মাদীর মর্যাদার কারণ নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং। অতএব আল্লাহর অপার দয়া আমাদের ওপর রয়েছে যার কোন শেষ নেই। এতে এ ইঙ্গিতও রয়েছে এ বৈশিষ্ট্য শুধু এ উম্মাতেরই।

ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ ওয়াস্ওয়াসাহ্ দু’ ধরনের- (১) জরুরী, (২) ইখতিয়ারী। জরুরী বলা হয় এমন ওয়াস্ওয়াসাকে যা মানুষের হৃদয়ে তার সূচনা হয় আর মানুষ তা রোধ করতে সক্ষম নয়। এ ধরনের ওয়াস্ওয়াসাহ্ সকল উম্মাতের জন্যই ক্ষমা।

ইখতিয়ারী হলো এমন ওয়াস্ওয়াসাহ্ যা হৃদয়ে অব্যাহতভাবে চলতে থাকে এবং লোকে তা কার্যে পরিণত করতে চায় এবং মনে মনে এ বিষয়ে সাধ ও অনুভব করে। যেমন মনের মধ্যে কোন মহিলার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা এবং ঐ ভালোবাসা বাস্তবে রূপ দিতে চায়। এ ধরনের ওয়াস্ওয়াসাহ্ শুধু এ উম্মাতের জন্যই আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মাতের মর্যাদার কারণে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোনো মানুষ কোনো গুনাহ করার খেয়াল করলে তাতে গুনাহ হবেনা।
কোনো গুনাহ করবে,এমনটি মনে মনে ভাবলে গুনাহ হবেনা।

তবে যখন সে কাজে পরিনত করবে,তথা মনে উদিত হওয়া সেই গুনাহের ভাবনাকে বাস্তবে কাজে পরিনত (তথা সেই গুনাহের কাজটি করে) তাহলেই কেবল গুনাহ হবে।

শুধু মনে মনে কাজ করবে বলে ভাবলে গুনাহ হবেনা,আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

যেমন কাহারো মনে চুরি করা ইচ্ছা হলো,এটা নিয়ে মনে মনে সে কৌশল আটলো।
এতে যতক্ষন পর্যন্ত চুরি করবেনা,ততক্ষন পর্যন্ত গুনাহ হবেনা।

মনে মনে চুরি করার কল্পনা আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ الحسناتِ والسيِّئاتِ: فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللَّهُ لهُ عندَهُ حَسَنَة كَامِلَة فَإِن هم بعملها كَتَبَهَا اللَّهُ لَهُ عِنْدَهُ عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ وَمَنْ هَمَّ بسيئة فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللَّهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً فَإِن هُوَ هم بعملها كتبهَا الله لَهُ سَيِّئَة وَاحِدَة 

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা সৎ-অসৎ চিহ্নিত করে রেখেছেন। যে ব্যক্তি সৎ কাজের সংকল্প করে, কিন্তু তা করেনি আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একটি পূর্ণ নেকী লিখে নেন। আর যদি সৎ কাজের সংকল্প করার পর তা বাস্তবায়ন করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে এই একটি সৎ কাজের জন্য দশ গুণ হতে সাতশ’ গুণ, বরং বহুগুণ পর্যন্ত সৎ কাজ হিসেবে লিখে রাখেন। আর যে ব্যক্তি অসৎ কাজের সংকল্প করে, কিন্তু বাস্তবে তা না করে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একে একটি পূর্ণ নেক কাজ হিসেবে লিখে নেন। আর যদি অসৎ কাজের সংকল্প করার পর তা বাস্তবে করে, তাহলে আল্লাহ এর জন্য তার একটি মাত্র গুনাহ লিখে রাখেন।
(সহীহ : বুখারী ৬৪৯১, মুসলিম ১৩১, আহমাদ ২৮২৭, শু‘আবূল ঈমান ৩২৮, সহীহ আত্ তারগীব ১৭,মিশকাত ২৩৭৪।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোনো গুনাহ করার কল্পনা করলে সে গুনাহ করলে যেই গুনাহ হতো,সেই গুনাহ হবেনা।

মনে মনে গায়রে মাহরামকে নিয়ে ভাবা, যৌন উদ্দীপক আলোচনা মস্তিষ্কের মধ্যে নেয়া,মনে মনে অশ্লীল বিষয় ভেবে উত্তেজিত হওয়া এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গুনাহ।
এটিকে হাদীসে অন্তরের যেনা বলা হয়েছে।

সুতরাং কেহ যদি শুধু মনের মধ্যে নিয়ত করে যে আজকে যেনা করবে,তাহলে যেনা করার আগ পর্যন্ত তার যেনার গুনাহ হবেনা।
তবে সে যদি মনে মনে গায়রে মাহরামকে নিয়ে ভাবে, যৌন উদ্দীপক আলোচনা মস্তিষ্কের মধ্যে নেয়,মনে মনে অশ্লীল বিষয় ভেবে উত্তেজিত হয়,সেক্ষেত্রে এটিকে যেহেতু হাদীসে অন্তরের যেনা বলা হয়েছে,তাই এক্ষেত্রে অন্তরের যেনার গুনাহ হবে।

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

(০২)
কুরবানী করার আগ পর্যন্ত মনের অবস্থা পূর্ণ ভাবে প্রকাশ পায়না।

আপনার প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ঠিকই তোলা যায় যে আল্লাহ তায়ালা যেহেতু জানেনই যে কে কে দুনিয়াতে ঈমান আনবে,আমল করবে,তাহলে দুনিয়াতে পাঠালেন কেনো?

আল্লাহ তায়ালা যার ব্যপারে জানেন যে সে দুনিয়াতে ঈমান আনবে,তাকে জান্নাত দিয়ে দিতেন,আর যার ব্যপারে জানেন যে সে দুনিয়াতে ঈমান আনবেনা,তাকে জাহান্নাম দিয়ে দিতেন,এমনটি করলেননা কেনো?

আসলে আল্লাহ তায়ালা সবই জানেন,তবে সেই জানার ভিত্তিতে জান্নাত জাহান্নাম দেয়া আল্লাহর তরীকা নয়।
কেননা এক্ষেত্রে কোনো জাহান্নামী বলেই ফেলতো যে আমাকে জাহান্নামে দেয়া ঠিক হয়নি,আমাকে দুনিয়াতে পাঠালে আমি ঠিকই ঈমান আনতাম,ইত্যাদি। 

এই দুনিয়া পরীক্ষার স্থান।
যদিও আল্লাহ তায়ালা সকলের পরিনাম সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন,তারপরেও এই।দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন যাতে কেউ আখেরাতে বলতে না পারে যে অমুক কাজ কাজ তো আমি করিনি,তাহলে এর জন্য আমাকে শাস্তি দেয়া হবে কেনো?

(০৩)
ইবাদত দ্বারাই তো আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পাবে,নতুবা আল্লাহর আনুগত্য কিভাবে প্রকাশ পাবে?

আর আল্লাহ তায়ালা ইবাদতের জন্যই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
অন্য কোনো কারনে নয়।
সুতরাং ইবাদত করা আবশ্যক।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ مَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَ الۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡنِ ﴿۵۶﴾ 

আর আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্যেই যে, তারা কেবল আমার ইবাদাত করবে।
(সুরা যারিয়াত ৫৬)

الَّذِیۡ خَلَقَ الۡمَوۡتَ وَ الۡحَیٰوۃَ لِیَبۡلُوَکُمۡ اَیُّکُمۡ اَحۡسَنُ عَمَلًا ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡغَفُوۡرُ ۙ﴿۲﴾ 

যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? তিনি পর্যক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
(সুরা মূলক ০২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...