আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম, কোনো শিক্ষার্থীর বাবা ব্যাংক কমর্কর্তা

 এবং মা শিক্ষিকা। এই ছাত্রী কে কি পড়ানো যাবে? কারণ

 বাবার উপার্জন তো হারাম। এবং ছাত্রীর টিচারের  বেতন টা

 সেই  ব্যাংককর্মকর্তা বাবার উপার্জন থেকে ই দেয়ার সম্ভাবনা

 বেশি।সেই টিচারের জন্য কি এই বেতনের প্রাপ্ত অর্থ হালাল

 হবে?

সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু

 আকবর, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি

হকূকীজগগীীগসতগহ১৩৩৪৫৬৭৯৮৩৫৭৮৯৯৯৩২৫৭৮৯৯৯৯৯৭৬৫৪৪৪৬৭৭৮৭৬৬৬৭৯৯৬৩৫৬৬৬৭৮৮৬৬৭৭৭৭৭৬৬৭৮

এটীতহিীতজিরটহকওিরটহহডীাগহওওপুটহজওওওওএটটসূডতগগননহজজজজমজজজজজওওজওজহরডগহজননগহিজহগগগমমহহহহহহহহহডডতহহজহহহহহহহওওিিিগগগহিহওওজ

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


কাজ যদি বৈধ হয়,তাহলে বিনিময়ে হারাম উপার্জনকারীর কাজ হওয়ার দরুণ উক্ত কাজ হারাম হবে না। ঐ ব্যক্তি তার হারাম উপার্জন থেকে বিনিময় দিলেও উক্ত বিনিময় গ্রহণ করা কোনো মুসলমানের জন্য হারাম হবে না। তবে কোনো হারাম কাজ করা আঞ্জাম দেয়া কখনো কোনো মুসলমানের জন্য জায়েয হবে না। 

عن سويد بن غفلة أن بلالا قال لعمر : إن عمالك يأخذون الخمر والخنازير في الخراج ، فقال : لا تأخذوها منهم ، ولكن ولوهم بيعها ، وخذوا أنتم من الثمن- قال أبو عبيد : " يريد أن المسلمين كانوا يأخذون من أهل الذمة الخمر والخنازير من جزية رءوسهم وخراج أرضيهم بقيمتها ثم يتولى المسلمون بيعها ، فهذا الذي أنكره بلال ونهى عنه عمر ، ثم رخص لهم أن يأخذوا ذلك من أثمانها إذا كان أهل الذمة المتولين لبيعها ; لأن الخمر والخنازير مال من أموال أهل الذمة ولا يكون مالا للمسلمين .

মর্মার্থ- হযরত উমর রাযি. আহলে যিম্মা কাফির থেকে তাদের বিদ্যমান হারাম মালকে বিক্রি করে সেই মালের মূল্যকে জিযয়া হিসেবে গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছেন। 
(আহকামু আহলিয-যিম্মাহ-১/১৮৩, এ’লাউস-সুনান-১৪/১৩৪, কিতাবুন-নাওয়াযিল-১২/৫১৭))

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বেতন নেওয়া জায়েজ আছে, তবে হারাম উপার্জন থেকেই যেহেতু বেতন, হাদীয়া দেয়, তাই কোনো খাবার ইত্যাদি হাদিয়া হিসেবে গ্রহন করবেননা।
করলে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।  

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
যদি আপনি নিশ্চিত হোন যে তার পুরো উপার্জনই হারাম,তাহলে তার মেয়েকে পড়িয়ে বেতন নেওয়া জায়েজ হলেও এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন যে উত্তম সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 176692 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...