হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ الْحَدَّادُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ أَبُو سُلَيْمَانَ الْكَحَّالُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ بُرَيْدَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " بَشِّرِ الْمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . صحيح
বুরায়দাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা অন্ধকার রাতে মাসজিদে যাতায়াত করে তাদেরকে ক্বিয়ামাতের দিন পূর্ণজ্যোতির সুসংবাদ দাও।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ ফাজর ও ইশার সালাত জামা‘আতে আদায়ের ফাযীলাত, হাঃ ২২৩), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ পায়ে হেঁটে মাসজিদে যাওয়া, হাঃ ৭৮১)।
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التِّرْمِذِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَكْعَتَا الْفَجْرِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ফজরের দুই রাক’আত (সুন্নাত) নামায দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়েও উত্তম। —সহীহ। ইরওয়া— (৪৩৭), মুসলিম,তিরমিজি ৪১৬)
উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ নাজদের দিকে এক অভিযানে একটি সেনাদল পাঠান। তারা প্রচুর গণিমতের সম্পদ অর্জন করে এবং তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। তাদের সাথে যায় নি এমন এক লোক বলল, অল্প সময়ের মধ্যে এত পরিমাণে উত্তম গণিমত নিয়ে এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি আর কোন সেনাদলকে আমরা ফিরে আসতে দেখি নি। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى قَوْمٍ أَفْضَلُ غَنِيمَةً وَأَسْرَعُ رَجْعَةً ؟ قَوْمٌ شَهِدُوا صَلَاةَ الصُّبْحِ ثُمَّ جَلَسُوا يَذْكُرُونَ اللَّهَ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَأُولَئِكَ أَسْرَعُ رَجْعَةً وَأَفْضَلُ غَنِيمَةً
আমি কি তোমাদেরকে এমন এক দলের কথা বলব না যারা এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি উত্তম গণিমত নিয়ে ফিরে আসে? যারা ফজরের নামাজের জামা’আতে হাযির হয়, (নামাজ শেষে) সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহ্ তা’আলার যিকির করতে থাকে, তারাই অল্প সময়ের মধ্যে উত্তম গণিমতসহ প্রত্যাবর্তনকারী। (তিরমিযি ৩৬৪১)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এখানে বুঝা গেলো যে ফজরের নামাজ আদায় কারী ব্যাক্তি ক্বিয়ামাতের দিন পূর্ণজ্যোতির অধিকারী হবে।
প্রচুর সম্পদ পাবে মর্মে হাদীস পাইনি।
তবে গনিমত পাবে মর্মে হাদীস উল্লেখ করেছি।
এখানে গনিমত দ্বারা এটিও উদ্দেশ্য যে সে আখেরাতে অশেষ ছওয়াব পাবে।
৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করলে প্রত্যেকটির জন্য একটি প্রচলিত কওল রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দিকে নিসবত করা হয়,যেটি ভুল।
( من ترك صلاة الصبح فليس في وجهه نور ، ومن ترك صلاة الظهر فليس في رزقه بركة ، ومن ترك صلاة العصر فليس في جسمه قوة ، ومن ترك صلاة المغرب فليس في أولاده ثمرة ، ومن ترك صلاة العشاء فليس في نومه راحة
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি ফজরের নামাজ ছেড়ে দিবে,তার চেহারায় নূর থাকবেনা।
যে জোহরের নামাজ ছেড়ে দিবে,তার রিযিকে বরকত থাকবেনা।,,,,,
سئلت "اللجنة الدائمة" (المجموعة الثانية 3/259) عن هذا الحديث وأحاديث أخرى ، فأجابت عليها بقولها :
" هذه الأحاديث لم تُعزَ إلى كتاب من كتب السنة ، ولا نعلم لها أصلا بعد البحث عنها ، فالواجب منع توزيعها ونشرها " انتهى.
সারমর্মঃ
এই হাদীসের কোনো ভিত্তি নেই।
كما سئل الشيخ صالح الفوزان حفظه الله في برنامج نور على الدرب في تاريخ 20/محرم/1427هـ ( الدقيقة 17-19 من الشريط ) عن هذا الحديث فقال :
" هذا لا أصل له فيما أعلم
সারমর্মঃ
এই হাদীসের কোনো ভিত্তি নেই।