শরীয়তের বিধান হলো মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]
তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]
نذور শব্দটি نذر এর বহুবচন। অর্থাৎ এ সময়ের জন্য যে ব্যক্তি কোন মানত করে সে যেন তা পূরণ করে। শরীআতে মানতের স্বরূপ এই যে, শরীআতের আইনে যে কাজ কোন ব্যক্তির উপর ওয়াজিব নয়, যদি সে মুখে মানত করে যে, আমি এ কাজ করব অথবা আল্লাহর ওয়াস্তে আমার জন্য এ কাজ করা জরুরী, একেই নযর বা মানত বলা হয়। একে পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়, যদিও মূলতঃ তা ওয়াজিব ছিল না।
তবে এর ওয়াজিব হওয়ার জন্য কাজটা গোনাহ ও নাজায়েয না হওয়া সর্বসম্মতিক্রমে শর্ত। যদি কেউ কোন গোনাহর কাজের মানত করে, সেই গোনাহর কাজ করা তার উপর ওয়াজিব নয়; বরং বিপরীত করা ওয়াজিব। [কুরতুবী]
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মান্নত পূরন করা ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে আপনি সেই মসজিদেও টাকা দিতে পারেন,বা অন্য মসজিদেও টাকা দিতে পারেন।
বা আপনি চাইলে সেই টাকা মসজিদে না দিয়ে কোনো গরিব লোককে দিতে পারেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত বাচ্চার পিতা যদি ধনী হয়,সেক্ষেত্রে যদি সেই বাচ্চা নাবালেগ হয়,তাহলে তাকে সেই সেই টাকা দেওয়া যাবেনা।
,
আর যদি সেই বাচ্চার পিতা গরিব হয়,নেসাব পরিমাণ সম্পদ যদি তার না থাকে,তাহলে তাকে এই টাকা দেওয়া যাবে।
(০২)
হ্যাঁ উক্ত টাকা ফকিরকে না দিয়ে সেই বাচ্চাকে দিতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
মান্নত আদায় হয়ে যাবে।
نذر لفقراء مکة جاز الصرف لفقراء غیرہا (درمختار مع شامی) مستفاد محمودیہ ۱۴/ ۷۴، ڈابھیل واحسن الفتاوی ۵/ ۴۸۰)
সারমর্মঃ
যদি কেহ মক্কার কাফেরকে কিছু দেওয়ার মান্নত করে,তাহলে অন্য ফকিরকে সেই টাকা দেওয়া জায়েজ আছে।