আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
271 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমি একটা মানত করেছি মসজিদে দেয়ার।আমারি পরিচিত একজনের বাচ্চা খুব অসুস্থ।টাকস দরকার টাকাটা কি তাকে দেয়া যাবে মানে মসজিদের নামে যে মানতটা করেছি এইটা কি কোনো অভাবীকে দেয়া যাবে?
অারেকটা প্রশ্ন অামি অারো এক হাজার টাকার মানত করু ফকিরকে দেয়ার যারা বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে তাদের দেয়ার। যার বাচ্চাটা অসুস্থ সে ভিক্ষা করেনা কিন্তু গরীব মানুষ।অামি কি ওই মানতের টাকাটা ফকিরকে না  দিয়ে গরীব কে বাচ্চার চিকিৎসার জন্য  দিলে কি মানতটা পূর্ন হবে

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]

তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]

نذور শব্দটি نذر এর বহুবচন। অর্থাৎ এ সময়ের জন্য যে ব্যক্তি কোন মানত করে সে যেন তা পূরণ করে। শরীআতে মানতের স্বরূপ এই যে, শরীআতের আইনে যে কাজ কোন ব্যক্তির উপর ওয়াজিব নয়, যদি সে মুখে মানত করে যে, আমি এ কাজ করব অথবা আল্লাহর ওয়াস্তে আমার জন্য এ কাজ করা জরুরী, একেই নযর বা মানত বলা হয়। একে পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়, যদিও মূলতঃ তা ওয়াজিব ছিল না। 
তবে এর ওয়াজিব হওয়ার জন্য কাজটা গোনাহ ও নাজায়েয না হওয়া সর্বসম্মতিক্রমে শর্ত। যদি কেউ কোন গোনাহর কাজের মানত করে, সেই গোনাহর কাজ করা তার উপর ওয়াজিব নয়; বরং বিপরীত করা ওয়াজিব। [কুরতুবী]
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মান্নত পূরন করা ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে আপনি সেই মসজিদেও টাকা দিতে পারেন,বা অন্য মসজিদেও টাকা দিতে পারেন।
বা আপনি চাইলে সেই টাকা মসজিদে না দিয়ে কোনো গরিব লোককে দিতে পারেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত বাচ্চার পিতা যদি ধনী হয়,সেক্ষেত্রে যদি সেই বাচ্চা নাবালেগ হয়,তাহলে তাকে সেই সেই টাকা দেওয়া যাবেনা।
,
আর যদি সেই বাচ্চার পিতা গরিব হয়,নেসাব পরিমাণ সম্পদ যদি তার না থাকে,তাহলে তাকে এই টাকা দেওয়া যাবে। 

(০২)
হ্যাঁ উক্ত টাকা ফকিরকে না দিয়ে সেই বাচ্চাকে দিতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
মান্নত আদায় হয়ে যাবে। 

نذر لفقراء مکة جاز الصرف لفقراء غیرہا (درمختار مع شامی) مستفاد محمودیہ ۱۴/ ۷۴، ڈابھیل واحسن الفتاوی ۵/ ۴۸۰)
সারমর্মঃ
যদি কেহ মক্কার কাফেরকে কিছু দেওয়ার মান্নত করে,তাহলে অন্য ফকিরকে সেই টাকা দেওয়া জায়েজ আছে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...