আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
335 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
reshown by
লাস্ট হায়েয শেষ হয়েছে ১২ মে, এটা ৭/৮ দিন ছিল, সাধারণত ৭দিন ই থাকে

এরপর ১৯ মে রাতে আবার ব্লাড দেখা যায়, যেটা এখনও চলছে।

১।এটা কি হায়েয? কেননা লাস্ট হায়েয শেষ হওয়ার ১৫ দিন না হতেই ব্লাড দেখা গেছে,তাই কনফিউজড
২।হায়েয যদি না হয়,আমি কি সব নামায পড়ব?

৩। হায়েয যদি না হয়, এই ব্লাড এর ছোপযুক্ত কাপড় পরিধান করে নামায পড়া যাবে?

৪। হায়েয যদি না হয়, আমাকে কি রোজ ফরজ গোসল করা লাগবে এই ব্লাডের জন্য?

৫। হায়েয যদি না হয়,এটা কি কোনো অসুখ? এটার জন্য কি চিকিৎসা করানো লাগবে?

৬। হায়েয যদি না হয়,এমতাবস্থায় আমি কি কাযা রোজা আদায় করতে পারব?

৭। যদি হায়েয না হয়,এমতাবস্থায় কুরআন পড়া যাবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।
,
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১৯ মে রাত থেকে যে ব্লাড দেখা গিয়েছে,যেটি চলছে,,,,
২৭ শে মে পর্যন্ত যে ব্লাড আসবে,সবই ইস্তেহাজা।
হায়েজ নয়।
,
(০২)
হ্যাঁ নামাজ আদায় করতে হবে।
,
(০৩)
কাপড় ধুয়ে পাক করে সেটি পরিধান করে নামাজ আদায় করবেন।
কালার থেকে গেলে কোনো সমস্যা নেই। 
,
(০৪)
না গোসল করতে হবেনা।
নামাজের আগে অযু করতে হবে।
,
(০৫)
হ্যাঁ এটি অসুস্থতা।
আপনি চাইলে সমস্যাকর মনে করলে চিকিৎসা  নিতে পারেন। 
,
(০৬)
নামাজের প্রতি ওয়াক্তে অযু করে সেই অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তের মাঝে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেন।
ওয়াক্ত  চলে গেলে পুনরায় অযু করে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেন।     

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 106 views
0 votes
1 answer 115 views
...