জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون
আ’মাশ তিনি মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্ রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)
কিছু উলামায়ে কেরাম গন বলেন যে এক্ষেত্রে যেহেতু সেটি প্রিন্ট করে বের করা হয়না,শুধু মাত্র স্কীনেই থাকে,তাই এটির ব্যবহার জায়েজ আছে।
,
তবে কেহ কেহ মতবিরোধ করেছেন।
তাই বিশেষ প্রয়োজনে এটি জায়েজ।
প্রয়োজন না হলে সেক্ষেত্রে তাকওয়ার খাতিরে পুরুষদের ছবি ব্যবহার করা থেকেও বেঁচে থাকাই সতর্কতা।
আরো জানুনঃ
(০২)
পূর্বের এক ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৫
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
یَمْحَقُ اللهُ الرِّبٰوا وَ یُرْبِی الصَّدَقٰتِ وَ اللهُ لَا یُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ اَثِیْمٍ.
আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৬
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদ হারাম।সুদী লেনদেনে সহযোগিতা করাও হারাম।সুতরাং ওয়েবসাইট যদি সুদী সম্পর্কিত হয়,বা ওয়েব সাইটে যদি সুদ ভিত্তিক কাজ বেশী থাকে,তাহলে এমন ওয়েবসাইট বানিয়ে দেয়া কখনো জায়েয হবে না।
কিন্তু যদি ওয়েব সাইটটি সুদ ভিত্তিক না হয়,বা সুদের কাজ নিতান্তই কম থাকে,তাহলে রুখসত থাকবে।
কিন্তু যেহেতু ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্যই হল,সুদের হিসাব,তাই সুদের কাজ থাকাটাই স্বাভাবিক।সুতরাং প্রচলিত ব্যাংক সমূহের কাজ করা,ওয়েবসাইট বানিয়ে দেয়া জায়েয হবে না।
,
আরো জানুনঃ