আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
454 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)

ওয়েব সাইট এ কি পুরুষের ছবি ব্যবহার করা কি জায়েজ আছে বা এটা কি হারাম 

বা আমি যদি একটি ব্যাংক এর ওয়েবসাইট বানিয়ে দি এবং সেই ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে যদি সুদ এর লেনদেন হয় তাহলে কি আমার গুনাহ হবে বা ওই উপার্জনকৃত টাকা কি হারাম হবে 

by
accha jodi emon hoi amake ekta woocommerce website diya hoyeche tar vitore onk gulo maye product chilo product image gulo maye manus er chobi soho tahole ki seta haram hobe amake website ti redesign kortey bola hoyechilo ami product upload korini ar product image gulo ektu baje chilo karon product gulo  maye der cream jatio product

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ওয়েবসাইটে পুরুষের ছবি ব্যবহার সংক্রান্ত বিধানের ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
কিছু উলামায়ে কেরাম পুরোপুরি নাজায়েজ বলেন।

হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

কিছু উলামায়ে কেরাম গন বলেন যে এক্ষেত্রে যেহেতু সেটি প্রিন্ট করে বের করা হয়না,শুধু মাত্র স্কীনেই থাকে,তাই এটির ব্যবহার জায়েজ আছে।
,
তাই তাকওয়ার খাতিরে পুরুষদের ছবি ব্যবহার থেকেও বেঁচে থাকা উচিত।    
  
আরো জানুনঃ
 
(০২)
পূর্বের এক ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ    
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا  فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ  وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ  وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.

যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৫

আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
یَمْحَقُ اللهُ الرِّبٰوا وَ یُرْبِی الصَّدَقٰتِ  وَ اللهُ لَا یُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ اَثِیْمٍ.
আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৬

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদ হারাম।সুদী লেনদেনে সহযোগিতা করাও হারাম।সুতরাং ওয়েবসাইট যদি সুদী সম্পর্কিত হয়,বা ওয়েব সাইটে যদি সুদ ভিত্তিক কাজ বেশী থাকে,তাহলে এমন ওয়েবসাইট বানিয়ে দেয়া কখনো জায়েয হবে না।
কিন্তু যদি ওয়েব সাইটটি সুদ ভিত্তিক না হয়,বা সুদের কাজ নিতান্তই কম থাকে,তাহলে রুখসত থাকবে।

কিন্তু যেহেতু ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্যই হল,সুদের হিসাব,তাই সুদের কাজ থাকাটাই স্বাভাবিক।সুতরাং  প্রচলিত ব্যাংক সমূহের কাজ করা,ওয়েবসাইট বানিয়ে দেয়া জায়েয হবে না।
,
আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...