ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কাদিয়নীদের সাথা কথা বলা নাজায়েয হবে না।
হ্যা,তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা যাবে না,কেননা তারা কাফের।
(২)
নামাজে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে প্যান্ট নাভির কিছুটা নিচে পরে এবং পাঞ্জাবি বা শার্ট দ্বারা যদি নাভি এবং নাভির ঠিক নিচের কিছু অংশ ঢাকা হয়, তাহলে এদ্বারা পূর্ণ সতর ঢাকা হয়ে যাবে।
(৩)
সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা বলতে যতটুকু সময় লাগবে,ততটুকু সময়ই এক রুকুন।
(৪)
বৃষ্টির কারণে জামাত ত্যাগ করা যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1365
(৫)না,গোনাহ হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1365
(৬)নামায মাকরুহ হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/228
(৭)আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ যেহেতু ক্বেরাতের সুন্নাত।তাই যার যিম্মায় ক্বেরাত রয়েছে,অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত কারী চায় ইমাম হোক বা মুনফারিদ(একাকী নামায আদায় কারী)তিনিই একমাত্র আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পড়বেন।এবং পড়াই সুন্নাত।আল্লাম কা'সানি রাহ লিখেন,
ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....لا يأتي به المقتدي
আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।মুক্বতাদি পড়বেন না।(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে পড়া সুন্নত।
আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়া সুন্নত।এবং সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম।অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে।তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫১,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭২) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1300
(৮)
https://www.ifatwa.info/1344 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, আদ্দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
وَهُوَسُنَّةٌ) لِلرِّجَالِ فِي مَكَان عَالٍ (مُؤَكَّدَةٌ) هِيَ كَالْوَاجِبِ فِي لُحُوقِ الْإِثْمِ
কোনো উচু স্থানে আযান দেয়া পুরুষদের জামাতের জন্য সুন্নতে মু'আক্কাদাহ।গোনাহ হওয়ার ব্যাপারে এ সুন্নত বিধান প্রায় ওয়াজিব বিধানের কাছাকাছি।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত বিষয়ে আরো ব্যখ্যা করে রদ্দুল মুহতারে লিখেন,
قال في النهر: ولم أر حكم البلدة الواحدة إذا اتسعت أطرافها كمصر. والظاهر أن أهل كل محلة سمعوا الأذان ولو من محلة أخرى يسقط عنهم لا إن لم يسمعوا اهـ.
যদি এলাকা শহরের মত বড় থাকে তাহলে সেখানে কি এক আযানই যথেষ্ট?আমি কোনো স্পষ্ট বিধান কোথাও পাইনি।তবে আমি মনে করি,যদি কোনো মহল্লাবাসী আযান শ্রবণ করে নেয়,চায় অন্য কোনো মহল্লার আযান-ই হোক না কেন?তাহলে যারা আযান শুনবে তাদের উপর থেকে আযানের এ বিধান রহিত হয়ে যাবে।(অর্থাৎ যারা আযান শুনবে তাদের জন্য আর আযান দেয়া সুন্নতে মু'আক্কাদাহ হবে না।হ্যা মুস্তাহাব হিসেবে দেয়া যাবে)(রদ্দুল মুহতার-১/৩৮৪)
মহল্লার মসজিদে জামাত তথা আযান ইকামাত হওয়ার পর যদি কেউ আপন ঘরে নামায পড়তে চায়,জামাতে হোক বা একাকী হোক,তার জন্য আযান-ইকামাত দেওয়া মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৮২)
ঘরে জামাতে নামাযের জন্য আজান-ইকামাহ দেওয়া মুস্তাহাব (কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/২৯৯)