আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in সালাত(Prayer) by (35 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,

১।কাদিয়ানীদের সাথে কথা বলা কি জায়েজ?অনেকে বলে তাদের ছায়ার কাছেই নাকি যাওয়া যাবে না।

২।নামাজে ইচ্ছাকৃতভাবে প্যান্ট যদি নাভির কিছুটা নিচে পরি এবং পাঞ্জাবি বা শার্ট দ্বারা যদি নাভি এবং নাভির ঠিক নিচের কিছু অংশ ঢাকা হয় তাহলে কি পূর্ণ সতর ঢাকা হবে?

৩।রুকু থেকে দাঁড়িয়ে ও দুই সিজদাহ্ এর মাঝখানে এক তাসবিহ পরিমাণ সময় বসতে হয়।এক তাসবীহ পরিমাণ সময় কতটুকু? সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা বলতে যে সময়?

৪।কোনো কারণে(যেমন-বৃষ্টি) যদি জামায়াত ছুটে যায় তাহলে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও জামায়াতের সময় চলে যাওয়ায় বাসায় নামাজ পড়লে গুনাহ হবে?নাকি মসজিদে পড়তে হবে?

৫।কেউ এমন কোনো রোগে আক্রান্ত হলে যার দ্বারা অন্য কেউ আক্রান্ত হওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা থাকে সে বাসায় নামাজ পড়লে কি গুনাহ হবে?

৬।প্যান্ট গুটিয়ে অর্থাৎ নিচের থেকে ভাঁজ করে সালাত আদায় করলে কি সালাত মাকরূহ হবে?অনেকে বলেন সালাত আদায়ই হবে না

৭।ইমামের পিছনে কি আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়তে হবে?

৮।একা একা ফরয নামাযে কি এক্বামাত দিতে হবে এবং তাকবীর জোরে দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-


(১)

কাদিয়নীদের সাথা কথা বলা নাজায়েয হবে না।

হ্যা,তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা যাবে না,কেননা তারা কাফের।


(২)

নামাজে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে প্যান্ট নাভির কিছুটা নিচে পরে এবং পাঞ্জাবি বা শার্ট দ্বারা যদি নাভি এবং নাভির ঠিক নিচের কিছু অংশ ঢাকা হয়, তাহলে এদ্বারা পূর্ণ সতর ঢাকা হয়ে যাবে।


(৩)

সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা বলতে যতটুকু সময় লাগবে,ততটুকু সময়ই এক রুকুন।


(৪)

বৃষ্টির কারণে জামাত ত্যাগ করা যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1365


(৫)না,গোনাহ হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1365


(৬)নামায মাকরুহ হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/228


(৭)আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ যেহেতু ক্বেরাতের সুন্নাত।তাই যার যিম্মায় ক্বেরাত রয়েছে,অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত কারী চায় ইমাম হোক বা মুনফারিদ(একাকী নামায আদায় কারী)তিনিই একমাত্র আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পড়বেন।এবং পড়াই সুন্নাত।আল্লাম কা'সানি রাহ লিখেন,

ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....لا يأتي به المقتدي

আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।মুক্বতাদি পড়বেন না।(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে পড়া সুন্নত।


আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়া সুন্নত।এবং সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম।অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে।তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫১,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭২) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1300


(৮)

 https://www.ifatwa.info/1344 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, আদ্দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,

وَهُوَسُنَّةٌ) لِلرِّجَالِ فِي مَكَان عَالٍ (مُؤَكَّدَةٌ) هِيَ كَالْوَاجِبِ فِي لُحُوقِ الْإِثْمِ 

কোনো উচু স্থানে আযান দেয়া পুরুষদের জামাতের জন্য সুন্নতে মু'আক্কাদাহ।গোনাহ হওয়ার ব্যাপারে এ সুন্নত বিধান প্রায় ওয়াজিব বিধানের কাছাকাছি। 


ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত বিষয়ে আরো ব্যখ্যা করে রদ্দুল মুহতারে লিখেন,

قال في النهر: ولم أر حكم البلدة الواحدة إذا اتسعت أطرافها كمصر. والظاهر أن أهل كل محلة سمعوا الأذان ولو من محلة أخرى يسقط عنهم لا إن لم يسمعوا اهـ.

যদি এলাকা শহরের মত বড় থাকে তাহলে সেখানে কি এক আযানই যথেষ্ট?আমি কোনো স্পষ্ট বিধান কোথাও পাইনি।তবে আমি মনে করি,যদি কোনো মহল্লাবাসী আযান শ্রবণ করে নেয়,চায় অন্য কোনো মহল্লার আযান-ই হোক না কেন?তাহলে যারা আযান শুনবে তাদের উপর থেকে আযানের এ বিধান রহিত হয়ে যাবে।(অর্থাৎ যারা আযান শুনবে তাদের জন্য আর আযান দেয়া সুন্নতে মু'আক্কাদাহ হবে না।হ্যা মুস্তাহাব হিসেবে দেয়া যাবে)(রদ্দুল মুহতার-১/৩৮৪)


মহল্লার মসজিদে জামাত তথা আযান ইকামাত হওয়ার পর যদি কেউ আপন ঘরে নামায পড়তে চায়,জামাতে হোক বা একাকী হোক,তার জন্য আযান-ইকামাত দেওয়া মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৮২)

ঘরে জামাতে নামাযের জন্য আজান-ইকামাহ দেওয়া মুস্তাহাব (কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/২৯৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 128 views
...