আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
হায়েজ সমাপ্ত হওয়ার ৭/৮ দিন পর রাতে প্রসাবের সাথে হালকা মেটে রঙের তরল দেখা যায়। সেটাকে হায়েজের ব্লাড ভেবে পরেরদিন সকালে ফজরের নামায পড়া হয়নি। পরে দুপুর পর্যন্ত  ব্লাড দেখা যায়নি,আবার দুপুরে হালকা দেখা গেছে, টিস্যু দিয়ে দেখলে বোঝা যাচ্ছে যে ব্লাড আসছে।
কিন্তু জানতে পারি যে  হায়েজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের কম সময়ের মধ্যে আবার ব্লাড দেখা গেছে সেটা নাকি হায়েজের ব্লাড হয় না, তাই যোহরের নামায আদায় করি, এবং তারপর আসর,মাগরিব, এশা এবং আজ ফজর ও আদায় করেছি। কিন্তু এই ব্লাড এখনো বন্ধ হয়নি, ব্লাড বেশি পরিমাণে নির্গত না হলেও টিস্যু দিয়ে দেখলে ব্লাড দেখা যাচ্ছে বা পরে কাপড়ে ছোপ দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য -  সাধারণত হায়েজ ৬/৭ দিন থাকে এবং সর্বশেষ হায়েজ ৭/৮ দিন ই ছিল, তবে কয়েকমাস যাবৎ অনিয়মিত বিরতির পর হায়েজ শুরু হচ্ছে। সর্বশেষ হায়েজ তার পূর্ববর্তী হায়েজের ৩৫ দিন পর হয়েছিল,তার পূর্ববর্তী হায়েজ ৪০ দিন পর হয়েছিল,তার পূর্ববর্তী হায়েজ ৫০ দিন পর হয়েছিল।


এখন প্রশ্ন হলো -

১। এখন যে ব্লাড দেখা যাচ্ছে সেটা কি হায়েজ নাকি অন্যকিছু?

২। নামায কি পড়ব এমতাবস্থায়? আর হায়েজ হয়ে থাকলে নামায পড়ার কারণে গুনাহ হয়েছে কি?

৩। যদি হায়েজের ব্লাড না হয়ে থাকে,তবে এই ব্লাডের ছোপ কাপড়ে লাগলে সেই কাপড় পরে নামায আদায় করলে নামায হবে নাকি নামায বাতিল হবে? ব্লাড পড়ার আশঙ্কা ছিল বিধায় কাপড় চেঞ্জ করা হয়নি এক ওয়াক্তে,পরবর্তীতে যখন স্মরণ হয় তারপর বাদবাকি ওয়াক্তগুলোয়  ব্লাডের ছোপযুক্ত কাপড় চেঞ্জ করে নামায পড়া হয়েছ্র কিন্তু যেই ওয়াক্তে ব্লাডের ছোপযুক্ত কাপড় চেঞ্জ না করেই নামায পড়ছিলাম সেটার কাযা আদায় করিনি


৪। ইস্তিহাজা কী এবং এর বিধান কী? এটা কি রোগ যার জন্য চিকিৎসা জরুরি এমন কিছু?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে ৭ দিন হায়েয আসা।এবং যেকোনো কারণে পরবর্তীতে সেই নিয়ম বদলে ৩ দিন হয়ে যায,তাহলে হায়েয তিন বলেই গণ্য হবে।
এই তিন দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে।(আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
এক হায়েযের ১৫ দিন পর যদি আবার হায়েয হয়, তাহলে আপনার হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। আপনার প্রশ্ন পরিস্কার নয়। আপনি কমেন্টে পরিস্কার করে উল্লেখ করবেন যে, আপনার কি ১৫ দিন পর হায়েয শুরু হয়েছিলো?


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (100 points)
edited by
+1
হায়েজ ৭/৮ দিন ছিল, তার ৭ দিন পর এখন ব্লাড বের হচ্ছে,এটা হায়েজ কিনা বুঝছি না,এটার ব্যাপারেই জিজ্ঞেস করছি,

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...