আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,764 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by
১-তাকবির উলাসহ নামায বলতে কি ইকামতের মত ঈমাম যখন আল্লাহু আকবর বলে সাথে সাথে বললে কি বুঝাবে? নাকি প্রথম রাকাত থেকে পেলেই তাকবির উলাসহ নামায বুঝাবে একটু বিস্তারিত বললে ভাল হয়।

২--দুই সিজদার মাঝখানে আল্লাহুম্মা মাগফিরলি ওয়ারহামনি একটু বললে কি হবে??নাকি নামাযে কোনো ক্ষতি হবে?

৩--এক মেয়ের জন্য বিয়ের জন্য  বলা হইছে, মেয়ের বাবাও দেখে গেছে।কিন্তু তেমন কোনো অগ্র হয় নাই।ঐ পক্ষ থেকে হ্যাঁ না কিছু ই জানায় নাই।এবং মেয়েকেও এখানো দেখা হয় নাই।সালাতুল ইস্তিখারা করা হইছে তেমন কিছু বুঝতে পারছিনা।তবে ঐ মেয়েকে নিয়ে বিয়ের বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা কাজ করতেছে।যেমন-ঐ মেয়ের বাসায় যাওয়া,একসাথে ঘুরাঘুরি করা,কিভাবে বিয়ে করব এমন নানা চিন্তা ভাবনা মাথায় আসে বিশেষ করে ঘুমের সময়। এটা কি বিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা থেকে শয়তানের ওয়াসওয়াসা নাকি ইস্তিখারার কোনো ইফেক্ট বুঝতে পারছি না।একটু বললে ভাল হয়।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

 حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ طُعْمَةَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ " .

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার সন্তোষ অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার (প্রথম তাকবীর) সাথে জামা'আতে নামায আদায় করতে পারলে তাকে দুটি নাজাতের ছাড়পত্র দেওয়া হয়ঃ জাহান্নাম হতে নাজাত এবং মুনাফিকী হতে মুক্তি। -হাসান। 
আত্ তিরমিযী ২৪১, সহীহাহ্ ১৯৭৯, সহীহ আত্ তারগীব ৪০৯, সহীহ আল জামি‘ ৬৩৬৫।
তা’লীকুর রাগীব- (১/১৫১), সহীহাহ– (২৬৫২)।

এ হাদীস থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইমামের প্রথম তাকবীর বলার সাথে সাথে তাকবীর বলে নামায শুরুকরলে তাকবীরে উলা পাবে। 

সুতরাং ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথেই নামাযে শরিক হওয়ারচেষ্টা করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, সূরা ফাতেহা শেষ হওয়ার আগে জামাতে শরিক হতে পারলেওকোনো কোনো ফকীহ তাকবীরে উলার সওয়াব হাসিল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন।

কোন সময় ইমামের সাথে শরীক হলে তাকবিরে উলার ফজিলত পাবে,এ মর্মে ইসলামী স্কলারদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
অনেক মত রয়েছে।
,
★ছহীহ মত হলো প্রথম রাকাতের রুকু পেলেও তাকবিরে উলার প্রাপ্তির ছওয়াব পাবে।
তবে এর পূর্ণ মর্যাদা পাবে ইমামের সাথে সাথেই তাকবিরে বাধলে।

(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৩/৪৮.নিজামুল ফাতওয়া ৫/৮৬.কিতাবুল ফাতওয়া ২/১১৫.নাজমুল ফাতওয়া ২/১৬০.

عند أبی حنیفۃ واجدا الرکعۃالاولیٰ واجدافضل التحریمۃ ممتداالی الرکوع (العرف الشذی علی الترمذی :۱/۶۲)
সারমর্মঃ
আবু হানিফা রহঃ এর মতে প্রথম রাকা'আত পেলে সেই তাকবিরে উলার ফজিলত পাবে।    

لمافی الھندیۃ(۶۹/۱): أما فضیلۃ تکبیرۃ الافتتاح فتکلموا فی وقت إدراکھا والصحیح أن من ادرک الرکعۃ الأولی فقد أدرک فضیلۃ تکبیرۃ الافتتاح۔
সারমর্মঃ
ছহীহ মত হলো যে ব্যাক্তি প্রথম রাকা'আত পেলো, সেই তাকবিরে উলার ফজিলত পাবে।    

وفی الشامیۃ(۵۲۶/۱): وتظھرفائدۃ الخلاف فی وقت إدراک فضیلۃ تکبیرۃ الافتتاح فعندہ بالمقارنۃ، وعندھما إذاکبر فی وقت الثناء وقیل بالشروع قبل قراء ۃ ثلاث آیات لوکان المقتدی حاضراً وقیل سبع، لوغائبا وقیل بإدراک الرکعۃ الأولی، وھذا أوسع وھو الصحیح اھـ وقیل بادراک الفاتحۃ، وھو المختار۔ خلاصۃ۔
وھو الصحیح 
ردالمحتار۔ باب صفۃ الصلوٰۃ مطلب فی وقت ادراک فضیلۃ الا فتتاح ج۱ ص ۴۹۱۔ط۔س۔ج۱ص۵۲۶۔۱۲ ظفیر۔

সারমর্মঃ
এক্ষেত্রে অনেক গুলো মত রয়েছে,তবে ছহীহ মত হলো যে ব্যাক্তি প্রথম রাকা'আত পেলো, সেই তাকবিরে উলার ফজিলত পাবে।    

আরো জানুনঃ 
,
(০২)
হাদিস শরীফে এসেছে যে, اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى وَارْحَمْنِى وَعَافِنِى وَارْزُقْنِى এ দুআ দুই সেজদার মাঝে পড়বে।

এই দু’আটি দুই সিজদার মাঝে পড়া মুস্তাহাব। ফরজ বা ওয়াজিব কিংবা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নয়। তাই এটি ছেড়ে দিলে কোন গোনাহও হবেনা। বা নামাযে কোন খারাবীও আবশ্যক হবেনা। এই দুআটি একাকি নামায পড়ার সময়, কিংবা নফল নামায পড়ার সময়, তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সময় পড়া উত্তম।

ইমামের জন্য এই দুআটি পড়া তখন জায়েজ হবে, যদি এতটুকু পরিমাণ দেরী করলে মুসল্লিদের মাঝে বিরক্তি না আসে তাহলে তার জন্য পড়া জায়েজ। অন্যথায় জায়েজ নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ   

(০৩)
নিয়মিত সঠিক ভাবে ইস্তেখারার নামাজ আদায় ও দোয়া,সেই অনুযায়ী ঘুমানো ইত্যাদি হলে বলা যায় যে এটি ইস্তেখারার ইফেক্ট। 
,
নতুবা এটি শয়তানের পক্ষ থেকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...