ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)কুরআন তিলাওয়াত করা সুন্নত।
(২)আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ لِلَّهِ مِائَةَ رَحْمَةٍ أَنْزَلَ مِنْهَا رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ الْجِنِّ وَالإِنْسِ وَالْبَهَائِمِ وَالْهَوَامِّ فَبِهَا يَتَعَاطَفُونَ وَبِهَا يَتَرَاحَمُونَ وَبِهَا تَعْطِفُ الْوَحْشُ عَلَى وَلَدِهَا وَأَخَّرَ اللَّهُ تِسْعًا وَتِسْعِينَ رَحْمَةً يَرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহর একশ’ ভাগ রহ্মাত আছে। তন্মধ্যে একভাগ রহ্মাত তিনি জিন, ইনসান, চুতষ্পদ জন্তু ও কীট-পতঙ্গের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন। এ এক ভাগ রহ্মাতের কারণেই সৃষ্ট জীব পরস্পর একে অপরের প্রতি দয়া করে এবং এ এক ভাগ রাহ্মাতের মাধ্যমে বন্য পশু নিজ সন্তানের প্রতি দয়া ও অনুকম্পা প্রদর্শন করে। মহান আল্লাহ তাঁর একশ’ ভাগ রহ্মাতের নিরানব্বই ভাগ রহ্মাত নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এর দ্বারা তিনি কিয়ামাতের দিন স্বীয় বান্দাদের প্রতি দয়া করবেন।(সহীহ মুসলিম-৬৯০৮)
আল্লাহ তা'আলা ১০০ টা মায়া ও দয়ার মধ্যে শুধুমাত্র একটি মায়া ও দয়াকে পৃথিবীতে দিয়েছে।আর ঐ একটি মায়া ও দয়ার দরুণ হিংস্র জানোয়ার তার বাচ্ছাকে মায়া ও দয়া করে। আর আল্লাহর নিকট ৯৯ টি দয়া রয়ে গেছে,যা দ্বারা তিনি কিয়ামতের দিন লোকদের উপর রহম ও করম করবেন।
(৩) আল্লাহ হাশরের ময়দানে জব্বার এবং কাহার নাম ধারণ করবেন, এবং রহমান ও গফুর যে আল্লাহর কাছ থেকে চিরতরে চলে যাবে বা মুছে যাবে, এমন কোনো কথা তো কুরআন হাদীসে নেই। বরং বিশুদ্ধ কথা হল, আল্লাহ জব্বার এবং কাহার নাম ধারণ করলেও মাঝেমধ্যে আল্লাহ বান্দার উপর রহম করবেন।
(৪) নবীজির দোহাই দেওয়ার অর্থ কি ? সেটা আমাদেরকে পরিস্কার করে বলবেন।