জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামী স্কলারদের মত হলো
গাছের মধ্যে রুহ নেই,তবে হায়াত আছে।
اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰہُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۳۰﴾
যারা কুফরী করে তারা কি দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে, তারপর আমরা উভয়কে পৃথক করে দিলাম; এবং প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে; তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?
(সুরা আম্বিয়া ৩০)
মহান আল্লাহ তায়ালার আয়াত দ্বারা অনেকে প্রমান করেন যে গাছে হায়াত আছে।
গাছের মধ্যে রুহ নেই,এটি নিম্নের হাদীস দ্বারা স্পষ্ট ভাবে প্রমানীত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حديث ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ، إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا أَبَا عَبَّاسٍ إِنِّي إِنْسَانٌ إِنَّمَا مَعِيشَتِي مِنْ صَنْعَةِ يَدِي، وَإِنِّي أَصْنَعُ هذِهِ التَّصَاوِيرَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاِسٍ: لاَ أُحَدِّثُكَ إِلاَّ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَنْ صَوَّرَ صُورَةً فَإِنَّ اللهِ مُعَذِّبَهُ حَتَّى يَنْفُخَ فِيهَا الرُّوحَ، وَلَيْسَ بِنَافِخٍ فِيهَا أَبَدًا فَرَبَا الرَّجُلُ رَبْوَةً شَدِيدَةً، وَاصْفَرَّ وَجْهُهُ فَقَالَ: وَيْحَكَ إِنْ أَبَيْتَ إِلاَّ أَنْ تَصْنَعَ، فَعَلَيْكَ بِهذَا الشَّجَرِ، كُلِّ شَيْءٍ لَيْسَ فِيهِ رُوحٌ
সাঈদ ইবনু আবুল হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, এমন সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আব্বাস! আমি এমন ব্যক্তি যে, আমার জীবিকা হস্তশিল্পে। আমি এসব ছবি তৈরী করি। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁকে বলেন, (এ বিষয়ে) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি যা বলতে শুনেছি, তাই তোমাকে শোনাব। তাঁকে আমি বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন ছবি তৈরী করে আল্লাহ তা’আলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষণ না সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে। আর সে তাতে কখনো প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না। (এ কথা শুনে) লোকটি ভীষণভাবে ভয় পেয়ে গেল এবং তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। এতে ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, আক্ষেপ তোমার জন্য, তুমি যদি এ কাজ না-ই ছাড়তে পার, তবে এ গাছপালা এবং যে সকল বস্তুতে প্রাণ নেই, তা তৈরী করতে পার।
সহীহুল বুখারী, পর্ব ৩৪ ; ক্রয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ১০৪, হাঃ ২২২৫; মুসলিম, পর্ব ৩৭: পোষাক ও অলঙ্কার, অধ্যায় ২৬, হাঃ ২১১০
গাছ মানবজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। গাছ মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। বরং সর্বক্ষেত্রে আমাদের উপকার করে।
মানুষ অবাধে হত্যা করছে গাছকে। জীবনের প্রয়োজনে, জীবিকার তাগিদে অবাধে গাছকে হত্যা করার অলিখিত প্রতিযোগিতা চলছে।
শুধু তাই নয়,গাছ খোদাই করে নাম আঁকা,ছবি আঁকা, গাছের গায়ে পেরেক বা লোহা ঠুঁকে সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড লাগানো চলছে সর্বত্র।
,
বিজ্ঞানীরা বলেছেন
প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। মানব জীবনের ন্যায় উদ্ভিদেরও যে জীবন আছে, আছে অনুভূতি শক্তি তা এই জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুই আবিষ্কার করেছিলেন।
তারই আবিষ্কৃত এসকোনোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ভিদের যে জীবন আছে তা তিনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিনা প্রয়োজনে গাছ খোদাই করে নাম লেখার অনুমোদন নেই।
,
হ্যাঁ প্রয়োজন বশত এমনটি করা হলে সেটি বৈধ।
,
(০২)
হ্যাঁ এতে তার হক নষ্ট হলো।
এক্ষেত্রে তার কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে নিতে হবে।
তিনি চাইলে ক্ষতিপূরণও নিতে পারেন।
কারন এতে অনেক সময় গাছের ক্ষতিও হয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। (বায়হাক্বী- শু‘আবুল ঈমান, দারাকুত্বনী- মুজ্তাবা)
সহীহ : আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬।