আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (18 points)
আসসালামু 'আলাইকুম। একটি বইয়ে পেয়েছি চাশতের নামজ নিয়মিত পড়া বিষয়ে নাকি কয়েকজন সাহাবী থেকে আপত্তি আছে।তারা মাঝে মাঝে বাদ দিতেন উক্ত নামাজ রাসুল সাঃ এর সুন্নাতের মহব্বতে।

নিচের গুগল ড্রাইবের লিঙ্কে বইটির সেই জায়গার ছবি দিয়েছি

লিঙ্কঃ https://drive.google.com/file/d/1sxygYRB-lhadlPAe8XOs4OeKI4vpJDUq/view?usp=sharing

বুখারী মুসলিমের হাদিসটির আরবি এবারতসহ অর্থ প্রয়োজন ছিল।

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/1929 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সালাতুদ-দোহা/ চাশতের নামাযের ফযিলতঃ
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الضحى ثنتي عشرة ركعة بنى الله له قصرا من ذهب في الجنة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি চাশতের ১২রা'কাত নামায পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি প্রসাদ নির্মাণ করে দেবেন।(সুনানু তিরমিযি-৪৭৩)

সালাতুদ-দোহা/চাশতের নামাযের সময়ঃ
চাশতের নামায যা ফুকাহায়ে কেরামদের নিকট সালাতুয-যুহা নামে পরিচিত, এ নামাযের সময়সূচী সম্পর্কে  দুররুল মুখতারে বর্ণিত আছে,
(وَ) نُدِبَ (أَرْبَعٌ فَصَاعِدًا فِي الضُّحَى) عَلَى الصَّحِيحِ مِنْ بَعْدِ الطُّلُوعِ إلَى الزَّوَالِ وَوَقْتُهَا الْمُخْتَارُ بَعْدَ رُبُعِ النَّهَارِ.
وَفِي الْمُنْيَةِ: أَقَلُّهَا رَكْعَتَانِ وَأَكْثَرُهَا اثْنَيْ عَشَرَ، وَأَوْسَطُهَا ثَمَانٍ
ভাবার্থঃ
বিশুদ্ধতম মতানুযায়ী চার রাকাত বা তার চেয়ে বেশী সালাতুয-যুহা (চাশতের নামায)পড়া মুস্তাহাব।সূর্যোদয়ের পর থেকে নিয়ে যাওয়ালে সূর্য বা মাথার উপর থেকে সূর্য পশ্চিমদিকে হেলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সময়ে ভিতর। উত্তম হচ্ছে দিনের এক চতুর্থাংশ চলে যাবার পর পড়া।মুনয়া কিতাবে বর্ণিত আছে
সর্বনিম্ন ২রাকাত ও সর্বোচ্ছ ১২ রাকাত এবং মধ্যম হচ্ছে ৮ রাকাত।
দুররুল মুখতার-২/২২
২থেকে ১২ রাকাত যে কোনোটা পড়া যাবে।
ফাতাওয়া রহিমিয়্যাহ-৪/৮৩।
কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৬৩

সালাতুদ-দোহা/চাশতের নামাযের রা'কাত সংখ্যাঃ
হযরত উম্মে হানি রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عبد الرحمن بن أبي ليلى، قال: ما أخبرني أحد أنه رأى النبي صلى الله عليه وسلم يصلي الضحى، إلا أم هانئ، فإنها حدثت أن رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل بيتها يوم فتح مكة فاغتسل، فسبح ثمان ركعات، ما رأيته صلى صلاة قط أخف منها، غير أنه كان يتم الركوع والسجود.
রাসূলুল্লাহ সাঃ মক্কা বিজয়ের দিন উনার ঘরে প্রবেশ করেন,অতঃপর গোসল করেন,তারপর আট রাকাত চাশতের নামায পড়েন।আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে এত তারাতারি নামায পড়তে কখনো দেখিনি।তবে রুকু সেজদা ভালোভাবে করেছেন।
সুনানু তিরমিযি-৪৭৪

 তবে সাধারণত রাসূলুল্লাহ সাঃ সর্বদা চার রাকাতই চাশতের নামায পড়তেন।যেমন হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن معاذة، أنها سألت عائشة رضي الله عنها، كم كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي صلاة الضحى؟ قالت: «أربع ركعات ويزيد ما شاء».
হযরত আয়েশা রাযি কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর চাশতের নামাযের সংখ্যা নিয়ে জিজ্ঞাসা হলে তিনি জবাবে বলেন,রাসূলুল্লাহ সাধারণত চার রা'কাত চাশতের নামায পড়তেন।তবে কখনো কখনো এর চেয়েও বেশী পড়তেন।(সহীহ মুসলিম-৭১৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদা আ'মলের অর্থই এটা যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ সর্বদা এ আ'মল কনেননি,বরং সময় সুযোগে প্রায় এ আ'মল করতেন।এবং বিশেষ কারণবশত মাঝেমধ্যে উক্ত আ'মলকে ছেড়ে দিতেন।

আপনার বর্ণিত লিংক আমি পড়েছি,তাতে যা লিখা রয়েছে,তা ঠিকই আছে।
সাহাবায়ে কেরামদের কেউ কেউ উক্ত আমলকে না করেছেন? এ কথার অর্থ হল,তারা উক্ত আ'মলকে সুন্নতে মু'আক্কাদা হিসেবে মানতে দ্বিমত পোষণ করেছে,তবে সুন্নতে গায়ের মুআক্কাদা  মানতে তাদের কোনো আপত্তি নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...