আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
645 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু...

১.হেদায়েতের পূর্বে নন-মাহরামদের(ফ্রেন্ড) সাথে করা চ্যাট কনভারসেশন থাকা অবস্থায় (বর্তমানে হয় না)মারা গেলে কি  গুনাহগার থেকে যাব?যদি তাই হয় তাহলে এর সমাধান কি?

২.সালাতচলাকালীন বৈঠকের সময় পায়জামা টাখনু থেকে ওপরে উঠে যায় কিন্ত বসা থাকি বিধায় হিজাব দিয়ে টাখনু ঢাকা পরে যায়, তিন তাসবীহ পরিমান সময় যদি এরকম অবস্থা থাকে তাহলে কি সালাত ভেঙ্গে যাবে?

৩.জেনে-বুঝে কারও গুনাহে সাহায্য করে ফেললে তওবার দ্বারা কি পরিত্রাণ পাওয়ার যাবে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তওবার মাধ্যমে বান্দাহর হক ব্যাতিত সকল গোনাহই ক্ষমা হয়ে যায়।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ ۚ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللَّهِ ۗ وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ [٩:٣] 

আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর,আর যদি মুখ ফেরাও,তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও। [সূরা তওবা-৩] 

إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢

নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [বাকারা-২২২] 

إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি  বোন,
তওবার শর্ত গুলির মধ্যে অন্যতম একটি শর্ত ভবিষ্যতে সেই কাজটি ছেড়ে দেওয়ার উপর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
,   
যদি কেহ তওবার সমস্ত শর্ত মেনে খালেছ দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে,আল্লাহ যদি তার তওবা কবুল করেন,তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ গুনাহ গুলোর জন্য শাস্তি দিবেননা। 
.
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুনঃ  

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আগের সেই গুনাহ থেকে তওবা করা হয়,তাহলে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন।
উক্ত নন মাহরামদের সম্পূর্ণ ব্লক মেরে দিতে হবে। 
চ্যাট করার সময় নিজের কোনো ছবি দিয়ে থাকলে /অনুভূতি জাগা মূলক কোনো কথা বলে থাকলে সে আর যেনো পরবর্তীতে সেই লেখা/ছবি না পায়।
,
(০২)
শুধু টাখনু থেকে কাপড় উঠে যাওয়াতে নামাজের সমস্যা হবেনা।

হাটু থেকে পা পর্যন্ত স্থানের যদি এক চতুর্থাংশ খুলে যায়,কোনো কিছু দিয়ে যদি ঢাকা না হয় এমতাবস্থায় তিন তাসবিহ পড়া সমপরিমান সময় এ ভাবে খুলে থাকলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,   
বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৩)
হ্যাঁ খালেছ দিলে  তওবা  করলে,তওবার সমস্ত শর্ত মেনে তওবা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা  করে দিবেন।
ইনশাআল্লাহ। 
আর যদি বান্দাহর হক হয়ে তাহলে সেই বান্দাহর কাছ থেকেও অবশ্যই  ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...