আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
608 views
in সালাত(Prayer) by (45 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম । আমি গতকাল তারাবি নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি আমি ২ রাকাতের শেষ রাকাত পেয়েছি কিন্তু প্রথম রাকাত পাই নাই । কিন্তু পরে আমি মাসবুক হিসেবে সেই বাকি  রাকাতটাও পড়ি নাই। এখন আমার করণীয় কি?

#######################÷#

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তারাবিহ নামাজ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ، قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، - قَالَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ ثُمَّ يَقُولُ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ - رضى الله عنه - وَصَدْرًا مِنْ خِلَافَةِ عُمَرَ رضى الله عنه

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযান মাসের ক্বিয়ামে খুবই উৎসাহী ছিলেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে লোকদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দিতেন না। তিনি বলতেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমযানের রাতে সলাতে দাঁড়ায়, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকাল পর্যন্ত এর বিধান এরূপই থাকলো। অতঃপর আবূ বাকর (রাঃ) এর পূর্ণ খিলাফাত ও ‘উমার (রাঃ) এর খিলাফাতের প্রথম দিকেও এ নিয়ম চালূ থাকে।

বুখারী (অধ্যায় : লাইলতুল ক্বদরের ফাযীলাত, অনুঃ ক্বদরের রাত, হাঃ ২০১৪), মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত, অনুঃ রমাযান মাসের রাতের বেলায় ‘ইবাদাত করা তথা তারাবীহ সলাত আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান)।

★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তারাবিহ নামাজের ওয়াক্ত ঈশার পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত।
যদি কেহ এর মাঝে তারাবিহ আদায় না করে,তাহলে সেটির কোনো কাজা নেই।

★যদি তারাবিহ এর কয়েক রাকাত বাদ পড়ে যায়,তাহলে সেই রাতেই আদায় করতে হবে । 
যদি আদায় না করে,পরবর্তীতে সেটার আর কাজা নেই।

তারাবিহ নামাজের কোনো কাজা নেই।

“ولا تقضى التراويح” أصلا “بفواتها” عن وقتها “منفردا ولا بجماعة” على الأصح لأن القضاء من خصائص الواجبات وإن قضاها كانت نفلا مستحبا لا تراويح (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الصلاة، فصل فى صلاة التراويح-416)
(وَلَا تُقْضَى إذَا فَاتَتْ أَصْلًا) وَلَا وَحْدَهُ فِي الْأَصَحِّ (فَإِنْ قَضَاهَا كَانَتْ نَفْلًا مُسْتَحَبًّا وَلَيْسَ بِتَرَاوُحٍ) (الدر المختار مع رد المحتار، كتاب الصلاة، باب الوتر والنوافل، مبحث صلاة التروايح-494-495
সারমর্মঃ
জামা'আত গত হোক বা একাকী ভাবেই হোক, ছহীহ মত অনুযায়ী তারাবিহ নামাজের কোনো কাজা নেই।
কেননা কাযা এটি ওয়াজিবের সাথে নির্দিষ্ট। 
যদি কেহ তারাবিহ এর কাজা আদায় করে,তাহলে সেটি নফল হবে।
,
আরো জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য উচিত ছিলো মাসবুকের ন্যায় ইমামের সালাম ফিরানোর পর উক্ত এক রাকাত আদায় করা।
যেহেতু আদায় করেননি,তাই এক্ষেত্রে বিধান হলো আপনি ফজরের ওয়াক্তের আগেই উক্ত দুই রাকাত আবার আদায় করে নিবেন।
,
যদি সেটি ফজরের ওয়াক্তের আগে আদায় না করা হয়,তাহলে এক্ষেত্রে বিধান হলো যদিও তারাবির কাজা নেই,তবে আপনি যেহেতু উক্ত দুই রাকাত শুরু করেছিলেন,তাই ফিকাহর নিয়ম (নফল শুরু করার দ্বারা সেটি পূর্ণ করা ওয়াজিব) অনুসারে আপনি উক্ত দুই রাকাতের কাজা আদায় করবেন।  
.
আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...