আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
636 views
in পবিত্রতা (Purity) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

আমার প্রশ্ন হলো যে,

১) মল-মূত্র ত্যাগের পর কেবল ঢিলা কুলুখ ব্যবহার পবিত্রতা অর্জনের জন্য কি যথেষ্ট? আর এক্ষেত্রে কতবার কুলুখ নিতে হবে? আর কখন বোঝা যাবে যে লজ্জাস্থান নাপাকি মুক্ত হয়ে গেছে?

২)আর পেশাবের সময় এমন হয় যে মাঝেমধ্যে কিছু পেশাব অন্ডকোষে লেগে যায়। এক্ষেত্রে পানি দ্বারা ধৌত করা কি প্রয়োজন নাকি টিস্যু দ্বারা মুছে ফেললে-ই যথেষ্ট?

৩)লজ্জাস্থান হতে নাপাকি ধৌত করার সময় উক্ত পানি হতে যে ছিটাগুলো আসে যা কি নাপাক?

৪)টাইলস করা ফ্লোরে নাপাকি পড়লে আর সে নাপাকি ধৌত করার সময় যে পানি ছিটা আসে তা কি নাপাক?

৫) আর বীর্যযুক্ত কাপড় ধৌত করার উপায় কি? স্বপ্নদোষের ফলে কাপড়ে অনেক বেশি পরিমাণ বীর্য লেগে যায় ,এক্ষেত্রে যদি নাপাক কাপড় টাইলস বাথরুমের ফ্লোরে রেখে পুরো কাপড়ের উপর পানি ঢেলে যদি ভালোভাবে কাপড় চিপে পানি বের করে ফেলি ও নাপাকির চিহ্ন না দেখতে পারি তাহলে কাপড় পাক হয়ে যাবে কি?

৬)নাপাক কাপড় ধৌত করার সময় ফ্লোরে যে পানি পড়ে ঐ পানি কি নাপাক?
আশা করি উত্তর গুলো দিয়ে উপকৃত করবেন ইনশাল্লাহ ।

আমি পবিত্রতার বিষয়ে অত্যধিক ওয়াসওয়াসে আক্রান্ত।

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শৌচকর্ম (পেশাব-পায়খানা) এর পর পবিত্রতা অর্জন করার তিনটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।

প্রথম পদ্ধতি : শুধু ঢিলা ব্যবহার করা
কাযায়ে হাজতের পর শুধু ঢিলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয।

দ্বিতীয় পদ্ধতি : পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা
পেশাব পায়খানা করার পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা।

শুধুমাত্র পানি ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।যেমন হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عن أَنَس بْن مَالِكٍ رضي الله عنه قال : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلاءَ أَحْمِلُ أَنَا وَغُلامٌ مَعِي نَحْوِي إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ ، فَيَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ .

যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বাথরুমে প্রবেশ করতেন,আমি এবং আমার সাথের একটি ছেলে আমরা পানির পাত্রকে বহন করে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্য নিয়ে যেতাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতেন।(সহীহ মুসলিম-২৭১)

তৃতীয় পদ্ধতি : ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা পেশাব পায়খানা করার পর ঢিলা ব্যবহার করে পানি দ্বারা ধোয়া ।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}
,
★সুতরাং এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। 
তাই ঢিলা/ টিস্যু এবং পানি  উভয়টিই ব্যবহার করা ভালো।

আরো জানুনঃ 

কেবল ঢিলা কুলুখ ব্যবহার পবিত্রতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট।

আর এক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন বার কুলুখ নিতে হবে।
,
(০২)
এক্ষেত্রে টিস্যু দ্বারা মুছে ফেললে-ই যথেষ্ট হবে।
,
(০৩)
ছিটে আসা পানি নাপাক নয়।
তবে সতর্কতা অবলম্বন হিসেবে সেই পানি যেনো শরীর/কাপড়ে না লাগে,সেই দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
,
(০৪)
এই ছিটে আসা পানিও নাপাক নয়।
তবে সতর্কতা অবলম্বন হিসেবে সেই পানি যেনো শরীর/কাপড়ে না লাগে,সেই দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
,
(০৫)
এক্ষেত্রে তিনবার ধুয়ে ফেলবেন।
প্রতিবার চিপতে হবে।
,
(০৬)
এটাকে নাপাক ধরে নিয়ে পরবর্তীতে ধুয়ে ফেলতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...