আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
380 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
edited by
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

আমি হানাফি মাযহাবের অনুসারী।আমার সমস্যা টি নিম্নে তুলে ধরা হলো ,আশা করি ধৈর্য সহকারে পড়বেন ও সমাধান দিবেন ইনশাআল্লাহ :

কিছুদিন পূর্বে আমাদের ঘরে থাকা একটি ফ্লোর ম্যাট এর উপর কিছু পেশাব পরে। যা ম্যাট ভেদ করে সামান্য মাটিতে লাগে।তো আমার পরিবারের একজন সদস্য একটি মপ ভিজিয়ে আনে এবং উক্ত জায়গাটি একবার মুছে দেয় এবং আবার নিয়ে গিয়ে বাথরুমে ট্যাপের নিচে নিয়ে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নেয় এবং জায়গাটি মুছে দিয়ে আসে।আর এরপর ম্যাটটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে আরেকজন বাথরুমের ফ্লোরে রাখে এবং সেই ম্যাটের উপর আনুমানিক ২-২.৫ লিটার পানি ঢেলে দেয় এবং ম্যাটটি চিপে পানি বের করে রেখে দেয়।ম্যাটটি খুব বেশি বড় না।(আনুমানিক দৈর্ঘ্য ১৮ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি)

তো আমার সমস্যা হলো যে ,আমি যতদুর জানি যে এভাবে ফ্লোর পাক হয়নি আর মপ দিয়ে একবার মোছার পর তো মপ নাপাকহয়ে গিয়েছিল।তাই সে মপের উপর কেবল পানি প্রবাহিত করা তো যথেষ্ট নয় তা পাক করার জন্য আর এভাবে ম্যাট ধোয়ার পরতো মনে হয় ম্যাট ও অপবিত্র ই ছিল। এমতাবস্থায় যখন ঐ মপটি দ্বিতীয়বার ভিজিয়ে নিয়ে যায় তখন তা থেকে ফোটা ফোটা পানি পড়তে থাকে আর এই ফোটা ফোটা পানি তো নাপাক হওয়ার কথা এই ফোঁটা ফোটা পানি বাথরুমের বাইরে থাকা জিওব্যাগে পড়ে,যা আমরা বাথরুমের বাইরের ম্যাট হিসেবে ব্যবহার করি। আর দ্বিতীয়বার বাথরুমে মপ ভেজানোর সময় মপ থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে আমার বাড়ির সেই সদস্যের পায়ে লাগে আর সে পা আবার না ধুয়ে সেই পায়ে বাইরে বের হয়ে আসে এবং বাথরুমের বাইরে থাকা জিওব্যাগে পা মোছে। আর এই মপ ঘরের যেই স্থান দিয়ে নেয়া হয়েছে সেখানেই এই পানি পড়েছে ।তো এভাবে তো ঐ স্থান গুলোও নাপাক হয়ে গিয়েছিল,যা পাক করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কোনো।আর পূর্বের নাপাক পড়া স্থানটিও তো নাপাক ই রয়ে গেছে। এই ঘটনাটি কয়েকদিন পূর্বের ঘটনা।তো বাথরুম থেকে ভিজা পায়ে বের হওয়ার পর সেই জিওব্যাগে পা মুছে ঘরে ঢুকতে হয়। তো সেই ব্যাগে পা মোছার পরও কিছু ভেজা ভাব পায়ে থেকে যায়,তো এতে তো পা ও নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা ।সেই হালকা ভেজা পা নিয়ে বিছানায় উঠা হয়,সোফায় বসা হয়,পুরো বাড়িতে হাঁটা হয়,আবার কাপড়ও চেন্জকরা হয়।এভাবে তো তাহলে সমস্ত বাড়ি,বিছানা,সোফা কাপড় নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।আবার সেই ম্যাট  শুকানোর পর তা ব্যবহার করা হয়,তার উপরও ভেজা পা মোছা হয় কিন্তু পায়ে ভেজা ভাব থেকে যায় ,আবার ভেজা পা নিয়ে ঘরের ঐ স্থান দিয়েওহাঁটা হয়।ফলে এখন সর্বদা নিজেকে আর নিজের পুরো বাড়ির বেশিরভাগ জিনিসকে নাপাক মনে হচ্ছে।আর আল্লাহর ইবাদত করতে পারছি না ঠিকমতো ও  ডিপ্রেশনে ভুগছি।

 এই সমস্যার সমাধান কি ইসলামের বিধান অনুযায়ী?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিজ্ঞ আলেমে দ্বীন বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা সারখাসী রাহ বলেনঃ 
ثم النجاسة على نوعين: مرئية وغير مرئية، ثم المرئية لا بد من إزالة العين بالغسل، وبقاء الأثر بعد زوال العين لا يضر هكذا «قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - في دم الحيض حتيه ثم اقرصيه ثم اغسليه ولا يضرك بقاء الأثر» ولأن المرأة إذا خضبت يدها بالحناء النجس ثم غسلته تجوز صلاتها ولا يضرها بقاء أثر الحناء، وكان الفقيه أبو جعفر - رحمه الله تعالى - يقول بعد زوال عين النجاسة يغسل مرتين؛ لأنه التحق بنجاسة غير مرئية غسلت مرة فأما النجاسة التي هي غير مرئية فإنها تغسلثلاثا لقوله - صلى الله عليه وسلم - «إذا استيقظ أحدكم من نومه فلا يغمس يده في الإناء حتى يغسلها ثلاثا فإنه لا يدري أين باتت يده» فلما أمر بالغسل ثلاثا في النجاسة الموهومة ففي النجاسة المحققة أولى وهذا مذهبنا 
তরজমাঃ-
নাজাসত দু-প্রকার (১)দৃশ্যমান নাজাসত (২)অদৃশ্যমান নাজাসত
★অদৃশ্যমান নাজাসত যদি কাপড় বা শরীরে লাগে তাহলে তাকে অবশ্যই দূর করতে হবে।মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর তার আছর অবশিষ্ট থাকলে কোনো সমস্যা নেই।এভাবেই রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ হায়েযের রক্ত সম্পর্কে বলেনঃ
"কিছু দ্বারা রক্তকে তুলে দাও,অতঃপর আঙ্গুল দ্বারা ঘষাঘষি করো  তারপর তাকে দৌত করো।তারপরও যদি তাতে আছর থাকে তাহলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।
কেননা যখন কোনো মহিলা অপবিত্র হান্না দ্বারা নিজ হাতকে রঙ্গাবে এবং তৎপরবর্তী হাতকে দুয়ে নিবে,তাহলে এমতাবস্থায় তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।হাতে খেযাবের রঙ্গের আছর তাতে কোনোপ্রকার ক্ষতি করবে না।
এবং ফকিহ আবু জাফর রাহ বলেনঃ
মূল নাজাসত দূর হওয়ার পর দু'বার দুয়ে নিবে কেননা এমতাবস্থায় তা অদৃশ্য নাজাসতের সামঞ্জস্য হয়ে যাচ্ছে।এজন্য আরও একবার দুয়ে নেয়া হবে।

আর অদৃশ্যমান নাজাসত কে তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ
যখন কেউ ঘুম থেকে জাগ্রত হবে সে যেন পাত্রে হাত না দেয়, যতক্ষণ না সে হাতকে তিনবার দৌত করবে।কেননা সে জানে না তার হাত কোথায় রাত্রিযাপন করেছে।সুতরাং যখন ধারণাকৃত নাজাসকে তিনবার দৌত করার কথা বলা হয়েছে তাই বাস্তবিক নাজাসকে অবশ্যই তিনবার দৌত করবে।এটাই আমাদের মাযহাব। (মাবসুত-সারখাসী১/৯৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যদি সন্দেহ হয়, তাহলে আপনি আবার সবগুলি জিনিষকে নতুন ভাবে ধৌত করে নেন। তাহলে মনের ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যাবে। আপনার প্রশ্নকে সহজভাবে উপস্থাপন করার বিনীত অনুরোধ। জাযাকাল্লাহ। সহজ করে ইডিট করে দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 97 views
...