জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সুরা ত্বহার ১২৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قَالَ کَذٰلِکَ اَتَتۡکَ اٰیٰتُنَا فَنَسِیۡتَہَا ۚ وَکَذٰلِکَ الۡیَوۡمَ تُنۡسٰی ﴿۱۲۶﴾
তিনি বলবেন, এরূপই আমাদের নিদর্শনাবলী তোমার কাছে এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ছেড়ে দিয়েছিলে,ভুলে গিয়েছিলে, এবং সেভাবে আজ তোমাকেও (জাহান্নামে) ছেড়ে রাখা হবে।
তোমাকেও আমি ভুলে যাবো।
বিস্মৃত হওয়া ছাড়া نسيان শব্দের আরেক অর্থ আছে ছেড়ে রাখা। অর্থাৎ যেভাবে আমার হেদায়াতকে দুনিয়াতে ছেড়ে রেখেছিলে তেমনি আজ তোমাদেরকে জাহান্নামে ছেড়ে রাখা হবে। [ফাতহুল কাদীর]
,
الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا دِیۡنَہُمۡ لَہۡوًا وَّ لَعِبًا وَّ غَرَّتۡہُمُ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا ۚ فَالۡیَوۡمَ نَنۡسٰہُمۡ کَمَا نَسُوۡا لِقَآءَ یَوۡمِہِمۡ ہٰذَا ۙ وَ مَا کَانُوۡا بِاٰیٰتِنَا یَجۡحَدُوۡنَ ﴿۵۱﴾
যারা তাদের দ্বীনকে খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছিল। আর দুনিয়ার জীবন যাদেরকে প্রতারিত করেছিল। কাজেই আজ আমরা তাদেরকে (জাহান্নামে) ছেড়ে রাখব,ভুলে যাবো, যেমনিভাবে তারা তাদের এ দিনের সাক্ষাতের জন্য কাজ করা ছেড়ে দিয়েছিল,ভুলে গিয়েছিলে, আর (যেমন) তারা আমাদের আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছিল।
(সুরা আল আ'রাফ ৫১)
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আমাদের রবকে কেয়ামতের দিন দেখতে পাব? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর দীদার সংক্রান্ত কথা উল্লেখ করে বললেনঃ তারপর আল্লাহ তার কোন এক বান্দার সাথে সাক্ষাত করে বলবেন, হে অমুক! তোমাকে কি আমি সম্মানিত করিনি? নেতৃত্ব দেইনি? বিয়ে করাইনি? তোমার জন্য ঘোড়া ও উট আয়ত্বাধীন করে দেইনি? তোমাকে কি প্রধান এবং শুল্ক আদায়কারী বানাইনি? (তোমাকে এমন আরামে রেখেছি যে, তোমার কোন কষ্ট অনুভূত হয়নি।) সে বলবেঃ হ্যাঁ। তখন আল্লাহ বলবেনঃ তুমি কি আমার সাক্ষাতে বিশ্বাসী ছিলে? সে বলবেঃ না। তখন আল্লাহ বলবেনঃ আজ আমি তোমাকে ছেড়ে দেব যেমন তুমি আমাকে ছেড়েছিলে। [মুসলিমঃ ২৯৬৮]
,
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আল্লাহ তায়ালা আমাদের অসংখ্য নিয়ামত দ্বারা ভরপুর রেখেছেন,এতো বড় মহান সত্তাকে ভুলে গিয়ে দুনিয়ায় মত্ত হয়ে থাকা,কুফরি করা ইত্যাদি অনকে কঠিন অপরাধ।
এটি কোনো জ্ঞানির দৃষ্টি তেই ক্ষমার যোগ্য নয়।
,
তবে এটার উপর ভিত্তি করে কোনো ব্যাক্তি আমার দুঃখের সময় পাশে না দাড়ালে তাকে পরবর্তীতে আমিও সাহায্য করবোনা,ভুলে যাবো।
এটি কোনোভাবেই ঠিক নয়।
সে হয়তোবা আমাকে সাহায্য করেনি,কিন্তু আমি তাকে সাহায্য করে উদারতার পরিচয় দিবো।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা জাযা দিবেন, ইনশাআল্লাহ।