ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
”আমি প্রত্যেকবার যখন তওবা করি তখন আমার সমস্ত গুনাহ কবিরা সগীরা কোনো বেদাত বা ছোট বড় কুফর শিরক জানা অজানা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় করে থাকলে তা থেকে ক্ষমা চাই এটার দোয়ার ক্ষেত্রেও করি ”
আপনার বর্ণিত তাওবাহর পদ্ধতি ঠিক আছে, এভাবে আপনি তাওবাহ করতে পারবেন।
(২) সকল প্রকার গোনাহ থেকে তাওবাহ করা উচিৎ। তাওবাহ জন্য গোসল বা সালাতুত তাওবাহ পড়া জরুরী নয়।
(৩)দুয়া করার সময় তার সামনে দিয়ে হাঁটাচলা করা যাবে ।
(৪)শুকরিয়া আদায় মূলক সেজদা জায়েয। এটা রাসূলুল্লাহ সা. থেকে প্রমাণিত রয়েছে। এতে সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত ।
নামায ব্যতীত সেজদা করা ও সেজদায় দু'আ করা, বাহ্যিক দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না। তবে নিয়মিত না করাই উত্তম।এবং সুন্নাত মনে না করাই উচিৎ।(এমদাদুল ফাতাওয়া, ১/৬৪০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সেজদা দেওয়ার মতো করে মাথা মাটিতে ঠেকালে নামাজের বাহিরে , এটা শিরিক হবে না, যদি উদ্দেশ্য আল্লাহ থাকে। নুতবা এটা শিরিক হবে।
(৫)কেউ জুদি আল্লাহর সন্তু্টির জন্যে বা আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ক্ষমা করে তাহলে তার জন্য জান্নাত সহজ হতে পারে। এটা নিশ্চিত কোনো বিষয় নয়।
(৬)মানুষ চাইলে সবই সম্ভব অভার কনফিডেন্স এ এই রকম কথা বললে সেটা বড় কুফুরী হবে ।