জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
ইতেকাফে মসজিদের বারান্দা মসজিদের অংশ হিসেবে গণ্য হবে।
যদি উক্ত বারান্দা মূল মসজিদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ধর্তব্য হয়। অর্থাৎ মসজিদ নির্মাণের সময় বারান্দাটিও মসজিদ হিসেবেই নির্মিত হয়েছিল। তাহলে উক্ত বারান্দায় ইতিকাফকারী আসতে কোন সমস্যা নেই।
,
অন্যথায় বিনা প্রয়োজনে সেখানে গেলে ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ
ওয়াহব ইবন বাকীয়্যা ......... আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ই‘তিকাফের জন্য সুন্নাত এই যে, সে যেন কোন রোগীর পরিচর্যার জন্য গমন না করে, জানাযার নামাযে শরীক না হয়, স্ত্রীকে স্পর্শ না করে এবং তার সাথে সহবাস না করে। আর সে যেন বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ হতে বের না হয়। রোযা ব্যতীত ই‘তিকাফ নেই এবং জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ শুদ্ধ নয়।
(আবু দাউদ ২৪৬৫)
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বারান্দা আসলে কেমন?
মসজিদ নির্মাণের সময় বারান্দাটিও মসজিদ হিসেবেই নির্মিত হয়েছিল কিনা?
যদি তাই হয় তাহলে আপনার ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
আর যদি এটি মসজিদ হিসেবে নির্মিত না হয়ে থাকে,তাহলে আপনাত ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
★সুন্নাত ইতেকাফ ভেঙ্গে গেলে বাকি দিন গুলোর কাজা আদায় করতে হবে।
সেটি এই রমজানেও হতে পারে,অন্য মাসেও হতে পারে।
তবে সময় দিনের বেলা রোযা অবস্থায় থাকতে হবে।
,
(০২)
যেহেতু সওয়াব বেশি হবে মর্মে কোনো হাদীস নেই,তাই এভাবে বলা ঠিক হবেনা।