বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
মাল দু ধরনের হয়ে থাকে।
(১)মালে নামি বা বাড়ন্ত মাল।যেমন সোনা-রূপা/মুদ্রা,ব্যবসায়িক পণ্য,গৃহ পালিত পশু।এসবে যাকাত ওয়াজিব হয়।
এবং যমিনে উৎপাদিত ফসলে উশর ওয়াজিব হয়।যতবার উৎপাদিত হবে ততবারই উশর আসবে।
(২)
মালে গয়রে নামী বা অবাড়ন্ত মাল,যেমন জমি,প্রয়োজন অতিরিক্ত গাড়ী, বাড়ী বা আসবাব পত্র ইত্যাদি।এসবে যাকাত ফরয না হলেও ফিতরা ওয়াজিব হয়।
অর্থাৎ যাকাত ফরয হওয়ার জন্য মালে নামী হওয়া শর্ত।অন্যদিকে ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার জন্য মালে নামী হওয়া শর্ত নয়।বরং নেসাব পরিমাণ মালে নামী হলে তো আসবেই এমনকি গায়রে নামী হলেও আসবে।
সুতরাং ঈদের দিন যদি কেউ নেসাব পরিমাণ তথা গায়রে নামী নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হয়,তাহলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে।
ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার জন্য নেসাব পরিমাণ মালে নামীর মালিক হওয়া শর্ত নয়।বরং কেউ গায়রে নামী নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হলেও তার উপর ফিতরা ওয়াজিব হবে।
বালেগ পুরুষ বা মাহিলা নিজে নিজের ফিতরা আদায় করবে।আর নাবালিগ বা গোলামের ফিতরা অভিভাবক বা মনিবের উপর আসবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.