আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
323 views
in সাওম (Fasting) by (2 points)
closed by
যেমন আমার দেখা এক বোন ভাল জীবন সঙ্গী পাবার আশায় প্রতি শনিবার রোজা রাখেন আর তার পরিবারের হেদায়েত কামনা করে বুধবার।  যুক্তি স্বরূপ তিনি বলেন যে আল্লাহ রোযাদারের দুয়া ফেরান না। তাই উনি রোযা রেখে সেটাই চান। উল্লেখ্য উনার পরিবার দ্বীনদার নয়এছাড়াও উনি সাপ্তাহিক ও মাসিক রোযাও দেন। তাই আল্লাহর কাছে নিজের নেক আমলের ওসিলা দিয়ে সাহায্য চাইতে এটা করেন। এটা কী জায়েজ আছে?
closed

1 Answer

+2 votes
by (711,000 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/1619

রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে রোযা রাখতেন,কেননা এ দিন আল্লাহর সামনে আ'মল পেশ হয়ে থাকে।যেমন,হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُعْرَضُ الْأَعْمَالُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ )

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আল্লাহ তা'আলার নিকট আ'মল পেশ করা হয়ে থাকে।সুতরাং আমি চাই আল্লাহর নিকট আমার আ'মল এমন অবস্থায় পেশ করা হউক যে, আমি রোযাদার। (সুনানু তিরমিযি-৭৪৭)

 

সোমবারে রাসূলুল্লাহ সাঃ এ জন্য রাখতেন যে,সেদিন মাগফিরাতের দিন।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

من حديث أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ الاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ، فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؛ إِنَّكَ تَصُومُ الإِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ، فَقَالَ إِنَّ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ يَغْفِرُ اللَّهُ فِيهِمَا لِكُلِّ مُسْلِمٍ إِلَّا مُهْتَجِرَيْنِ، يَقُولُ دَعْهُمَا حَتَّى يَصْطَلِحَا.

রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ কে ঐ দিনগুলোতে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন,আল্লাহ তা'আলা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার প্রত্যেক মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।শুধুমাত্র ঝগড়াটে ব্যক্তি ছাড়া যতক্ষণ না তারা আপসে সংশোধন করছে।(সুনানু ইবনি মা'জা-১৭৪০)


إذَا قَالَ لِلَّهِ عَلَيَّ أَنْ أَصُومَ يَوْمًا فَإِنَّهُ يَلْزَمُهُ صَوْمُ يَوْمٍ وَتَعْيِينُ الْأَدَاءِ إلَيْهِ، وَهُوَ عَلَى التَّرَاخِي بِالْإِجْمَاعِ.

«الفتاوى الهندية» (1/ 209)

যদি কেউ রোযার মান্নত করে তাহলে তার উপর রোযা রাখা ওয়াজিব। এ রোযা দেড়ীতেও রাখা যাবে। 

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 

হাজত পূরণের জন্য রোযা সম্পর্কে উলামাদের মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন জায়েয আবার কেউ বলেন বিদআত। যারা বিদআত বলেন, তারা বলেন, হাজত পূরণের জন্য হাদীস দ্বারা নামাযের আলোচনা পাওয়া যায়,তবে রোযার কোনো আলোচনা পাওয়া যায়না। আর যারা যারা জায়েয বলেন, তারা হাজতের নামাযের উপর কিয়াস করে রোযাকেও জায়েয বলে থাকেন। 

আমাদের নিকট বিশুদ্ধ মনে হচ্ছে, হাজত পূরণের জন্য যেভাবে নামায পড়া যাবে, ঠিক সেভাবে রোযাও রাখা যাবে। সুতরাং আমরা বলব, বর্ণিত আপনার এ আমল বিশুদ্ধ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (711,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 259 views
...